সায়াম-উর-রহমানের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৯:২১
ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সৈয়দা আরজুমান নার্গিস দম্পতির একমাত্র ছেলে সায়াম-উর-রহমান সায়েমের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী রোববার (৬ সেপ্টেম্বর)। এবার একমাত্র পুত্র প্রয়াত সায়েমের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে পারিবারিক ভাবে বাদ আছর কোরআন খতম ও বাদ মাগরিব পারিবারিকভাবে সীমিত পরিসরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও বনানী কবরস্থান মসজিদে বাদ আসর মিলাদ দোয়া ও তবারক বিতরণসহ মোহাম্মদপুর আদাবর শেরেবাংলা নগর বিভিন্ন মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বরিশালে বাদ জোহর ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটি বিবেচনা করে মরহুমের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে একমাত্র পুত্রের আত্মার মাগফেরাত কামনায় অংশ নিতে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সৈয়দা আরজুমান নার্গিস।
২০১১ সালের এই রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন সায়েম।
সে সময় আওয়ামী লীগ নেতা নানকের ছেলের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে ছুটি গিয়েছেন মোহাম্মদুপুরে নানকের বাসায়।
গত বছর (২০১৯) শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) একমাত্র পুত্র সায়াম-উর-রহমানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাদ আসর ধানমন্ডির বাসায় কোরানে খতম মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে পরিবারের পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছিলেন, বাবা-মা হিসেবে এ যে বড় কষ্ট, এ যে কত বড় কষ্ট। আমার মত যেন আর কাউকে এমন কষ্ট পেতে না হয়।
বিয়ের মাত্র দুবছরের মাথায় স্বামীকে হারান সায়েমের স্ত্রী আনিকা রহমান ও বাবাকে হারায় মেয়ে মেহরিশ রহমান। স্বামী হারানোর শোক-ব্যথার স্মৃতি আকঁড়িয়ে জীবন সংগ্রামে শ্বশুর-শ্বাশুড়ির আদর স্নেহ ভালবাসার পরশ নিয়ে জীবনের পথ বেঁয়ে চলছেন।
প্রতিবার ছেলের মৃ্ত্যুর সময়টার আগে-পরে শোক ব্যথায় বোবাকান্নায় চোখ বুজে স্মৃতি হাতড়ান নানক দম্পতি। একমাত্র পুত্র সন্তান হারানোর স্মৃতিময় বেদনার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি এলে আপনারা খবর নেন মিলাদ এবং দোয়া মাহফিল কোথায় হবে? আমি কি বলব, আমি ব্যথাতুর মানুষ। আমি এক বুক জ্বালা-কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি।’
সায়েম উর রহমান যেদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় সেদিন তার সেই শিশুটি আজ দশ বছরে পা পদার্পণ করেছে। দেয়ালে টাঙানো ছবির ফ্রেমে ফ্রেমে বাবাকে কাছে পেতে তার মন হয়ত এখন কাঁদে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও দাদার হাত ধরে তার বাবার কবর জিয়ারত করতে যাবেন। এসময় আবেগময় এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেইদিনের সেই ছোট্ট মেহরিশকে তার বাবার কবরের পাশ থেকে সরিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ছেলের কবরের কাছ থেকে প্রিয় নাতনিকে সরিয়ে আনতে বুকভরা কান্না চাপিয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দেন পরিবারের নিকটজনরা। পিতৃহারা নাতনিকে স্নেহ ভালবাসার পরশ আদরে অবুঝ বুঝ দিয়ে কবরের পাশ থেকে সরিয়ে আনতে তখন বোবা কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা ।