‘বিকল্প মূল্যায়ন’ থেকেও সরতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৫৬
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না কমে আসায় পিইসি’র পর এবার বার্ষিক পরীক্ষাও না নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলা গেলে পরীক্ষা কিংবা মূল্যায়ন কোনটাই নেওয়া সম্ভব না।’
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে স্কুল খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। আর বিদ্যালয় না খুললে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম যথা শিগগিরই শুরু হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আমাদের সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগের মতামত নিয়ে করোনা পরিস্থিতি শেষ না হলে আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে চাই না।’
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘স্কুল খোলা না গেলে তো (বার্ষিক) পরীক্ষা হবে না। স্কুল খোলা না গেলে কোনো মূল্যায়ন হবে না। আমরা দুইটা পরিকল্পনা মাথায় রেখেছি। অক্টোবর একটা, আর যদি নভেম্বর খোলা যায় নভেম্বরের জন্য একটা পরিকল্পনা করা আছে। যদি খোলা যায় তবে মূল্যায়নের বিষয়ে একটা ব্যবস্থা নিতে পারব। আর না হলে তো আপনারা বুঝেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘স্কুল খোলা না গেলে তো (বার্ষিক) পরীক্ষা হবে না। প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেন স্কুল যদি খোলা না যায় তাহলে তো পরীক্ষা হবে না। আমরাও তাই বলছি। স্কুল খোলা না গেলে অবশ্যই পরীক্ষা হবে না।’
মূল্যায়ন কীভাবে হবে প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘সেটা আপনারা বুঝেন। স্কুল না খোলা গেলে আমরা কী মূল্যায়ন করবো?’ আকরাম-আল হোসেন আরও বলেন, ‘একাত্তর সালে আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। তখন বই পেতে মার্চ মাস হয়ে যেত। মার্চে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে স্কুল, কলেজ, আদালত সব বন্ধ করে দিলেন। মার্চ থেকে তো বই নেই। আমরা ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে স্কুলে গিয়েছি, সেভেনে আমাকে উঠিয়ে দিয়েছে, সমস্যা নেই। স্কুল খোলা না গেলে কোনো মূল্যায়ন হবে না।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় সংসদ টিভি, বেতার ও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়।