কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আবারও তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি
৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:২৪
ঢাকা: ডা. সোহেলী পারভীন ও ডা. মামুনুর রশীদের ব্যাক ডেটে সই দেওয়া বিল-ভাউচারসহ বিভিন্ন রেকর্ডপত্র চেয়ে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের পরিচালকের কাছে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর সই করা এক জরুরি পত্রে এসব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ৯ আগস্ট করোনাকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের কাছে বেশকিছু তথ্য চায় দুদক।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিভিন্ন হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ চিকিৎসা ও প্রতিরোধের অংশ হিসেবে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা ও সরবরাহ, চিকিৎসকদের হোটেলে থাকা-খাওয়ার নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এ বছরের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যেসব স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, পিপিই, স্যানিটাইজার ও অন্যান্য দ্রব্য) এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, তার আইটেমভিত্তিক বিবরণ; ব্যয় হওয়া অর্থের পরিমাণ ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা; ক্রয় কমিটির তথ্য এবং বর্ণিত স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা সংক্রান্ত নথি ও নোটশিটের সত্যায়িত ফটোকপি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কী পরিমাণ বিল পরিশোধ করা হয়েছে, তার তথ্য এবং কী পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম বর্তমানে মজুত রয়েছে— তার তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
এর বাইরেও করোনাকালীন চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত এই হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হোটেলে রাখার ক্ষেত্রে হোটেলগুলোর সঙ্গে সই হওয়া চুক্তি, হোটেলে অবস্থানকারীদের তালিকা (হোটেলভিত্তিক), হোটেল ভাড়া ও খাবার বাবদ পরিশোধ করা বিলের তথ্য এবং নোট-শিটসহ সংশ্লিষ্ট নথির ফটোকপি এবং ডা. সোহেলী পারভীন ও ডা. মামুনুর রশীদের কাছ হতে যেসব বিল-ভাউচারে চার-পাঁচ মাস আগের তারিখ দিয়ে অর্থাৎ ব্যাক ডেটে সই নেওয়া হয়েছে, সে সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র ইত্যাদি।
এসব তথ্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর কাছে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
অনিয়মের চিত্র কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল দুদক দুদকে তথ্য তলব ব্যাক ডেটে বিল-ভাউচার