কোমর থেকে পায়ে অনুভূতি পাচ্ছেন না ওয়াহিদার বাবা
৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৪৯
ঢাকা: দুর্বৃত্তের হামলায় আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের কোমরের নিচের অংশ অনুভূতিহীন হয়ে আছে। মাথার আঘাতের স্থানের অবস্থার উন্নতি হলেও দেহের নিচের অংশের অনুভূতি ফিরে পেতে সময় লাগবে।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সারাবাংলাকে এসব কথা বলেন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম।
ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওমর আলী শেখ বয়স্ক মানুষ। তার ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপ ছিল। ঘটনার সময় তিনি ঘাড়ে আঘাত পান। এতে তার স্পাইনাল কর্ডে গুরুতর আঘাত লাগে। এ ধরনের জটিলতায় সাধারণত হাত-পা অবশ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তার দুই হাত সচল থাকলেও নাভির নিচ থেকে পুরো নিচের অংশ অনুভূতিহীন হয়ে গেছে। এ ধরনের সমস্যা সেরে উঠতে সময় লাগে।’
আপাতত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও ওমর আলী শেখকে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা দিতে হবে বলে জানান ডা. ফরিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ওমর আলী শেখ কথা বলতে ও খেতে পারছেন। কিন্তু তিনি এখনো পা নাড়াচাড়া করতে পারছেন না। তার কোমরের নিচের অংশ অনুভূতিহীন হয়ে আছে। তবে মাথায় আঘাতের স্থান অনেকটা ভাল হয়েছে। দেহের নিচের অংশের অনুভূতি ফিরে পেতে সময় লাগবে।’
উল্লেখ্য, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে ইউএনওকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ছয় সদস্যের চিকিৎসক দল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে। অস্ত্রোপচার শেষেই তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকরা।