‘রাস্তায় যখন নেমেছি, সমালোচনায় থামব না’
৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:০৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানালেও স্বার্থান্বেষী মহলের অহেতুক সমালোচনায় থামবেন না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরবাসীর অভাব-অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক সমাধান দিতে তৃতীয় দফায় স্কুটি চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন অলিগলিতে যান সুজন। নগরীর কোতোয়ালী মোড় থেকে পাথরঘাটা আশরাফ আলী সড়ক হয়ে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত যান তিনি। এসময় বিভিন্ন পয়েন্টে উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশে একথা জানান।
সম্প্রতিকালে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে রাখা হকারদের সরাতে মাঠে নেমে নানামুখী প্রতিক্রিয়ার শিকার হন চসিক প্রশাসক। এর জবাবে সুজন বলেন, ‘আমি হকারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ব্যবসা করার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছি। হকার নেতারা আমার কাছে ওয়াদা করেছেন তারা নিয়মনীতি মেনে চলবেন। যারা মানছেন না, তাদের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই কঠোর হব। সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে। আমি যখন রাস্তায় নেমেছি, কিছুতেই আমি থামবার পাত্র নই।’
গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে একটি মানবিক এবং বাসযোগ্য নগরী গড়ার লড়াইয়ে নেমেছি। একজন রাজপথের কর্মী হিসেবে আমি গঠনমূলক সমালোচনাকে স্যালুট করি। কিন্তু দুর্নীতি-অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় স্বার্থান্বেষী একটি মহলের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তারা যদি মনে করেন, সমালোচনা করে আমাকে থামাবেন সেটা ভুল করবেন। আমি যখন রাস্তায় নেমেছি, আমি থামব না।’
নগরবাসীর উদ্দেশে চসিক প্রশাসক বলেন, ‘যেসব হকার ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের কাছ থেকে কিছু কিনবেন না। তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন।’
যাত্রাপথে নগরীর পাথরঘাটার মিরিন্ডা লেইনে এলাকাবাসী ড্রেনের ওপর স্ল্যাব ভেঙ্গে সৃষ্ট গর্ত প্রশাসককে দেখান। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে নতুন স্ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেন। ব্রিকফিল্ড রোড ও আশরাফ আলী রোডের সড়কবাতি অকেজো থাকার অভিযোগও পান প্রশাসক। তিনি দ্রুত নতুন বাতি লাগানোর নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টদের। এছাড়া সরু গলিপথে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন চসিক প্রশাসক।
এসময় চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন ও ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী ছিলেন।