না.গঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:০৬
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত মসজিদে গ্যাস লাইনে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। আব্দুস সাত্তার (৪০) এই ব্যক্তিসহ ওই বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ২৯ জন মারা গেলেন।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর বাইরে দগ্ধ ৩৬ জনের মধ্যে একজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত সাত্তারের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
তিনি আর বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাত্তারের মৃত্যুতে এ পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হলো। সাত জন ভর্তি আছে। তাদের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নন।
এর আগে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় মসজিদে উপস্থিত জনা চল্লিশেক মুসল্লির প্রায় সবাই দগ্ধ হন। এর মধ্যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এনে ভর্তি করা হয়।
সাত্তারসহ যে ২৯ জন মারা গেলেন তারে মধ্যে আছেন— মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), পোশাককর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), মুন্সীগঞ্জের কুদ্দুস বেপারি (৭২), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), পটুয়াখালীর পোশাককর্মী রাশেদ (৩০), হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), কলেজ শিক্ষার্থী রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টস কর্মী নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুয়েল (৭), বাহার উদ্দিন (৫৫), নাদিম (৪৫), শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ইমরান (৩৭), জুলহাস (৩৫) ও শামীম (৪৫), আব্দুল হান্নান (৫০)।
বাকিদের মধ্যে বর্তমানে যারা আইসিইউয়ে আছেন তারা হলেন— মো. ফরিদ (৫০ শতাংশ দগ্ধ), শেখ ফরিদ (৯৩ শতাংশ দগ্ধ), মো. কেনান (৩০ শতাংশ দগ্ধ), নজরুল ইসলাম (৯৪ শতাংশ দগ্ধ), রিফাত ওরফে সিফাত (২২ শতাংশ দগ্ধ), আব্দুল আজিজ (৪৬ শতাংশ দগ্ধ) ও আমজাদ হোসেন (২৫ শতাংশ দগ্ধ)। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।