না.গঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণ: মৃত বেড়ে ৩১
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:৩৮
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত মসজিদে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুই জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নজরুল ইসলামের (৫০) শরীরের ৯৪ শতাংশ ও শেখ ফরিদের (২১) শরীরের ৯৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এই দু’জনসহ বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে ৩১ জনই মারা গেছেন। বাকি ছয় জনের মধ্যে একজনে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। আর পাঁচ জনকে এখনো শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নজরুল (৫০) ও বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শেখ ফরিদ (২১) মারা যান। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস সাত্তার (৪০) নামে একজন মারা গেছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল বিকেলে দু’জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দু’জন মারা গেছেন। এখানে যে ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছিলেন, এই দু’জনসহ তাদের মোট ৩১ জন মারা গেলেন। ছাড়পত্র পাওয়া একজন বাদে বাকি যে পাঁচ জন এখনো ভর্তি আছেন, তাদের অবস্থাও আশঙ্কামুক্ত নয়।
যে পাঁচ জন এখনো আইসিইউতে ভর্তি আছেন তারা হলেন— মো. ফরিদ (৫০ শতাংশ দগ্ধ), মো. কেনান (৩০ শতাংশ দগ্ধ), রিফাত ওরফে সিফাত (২২ শতাংশ দগ্ধ), আব্দুল আজিজ (৪৬ শতাংশ দগ্ধ) ও আমজাদ হোসেন (২৫ শতাংশ দগ্ধ)।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় মসজিদে উপস্থিত জনা চল্লিশেক মুসল্লির প্রায় সবাই দগ্ধ হন। এর মধ্যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এনে ভর্তি করা হয়েছিল। একে একে তাদের ৩১ জনই পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।