ইউএনও’র ওপর হামলা: ৯ দিন পর ওসি প্রত্যাহার, আটক আরও ২
১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:৩১
হিলি (দিনাজপুর): দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ৯ দিন পর ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ওসি আমিরুল ইসলামকে রংপুর ডিআইজি রেঞ্জে সংযুক্ত করে নেওয়া হয়েছে। ঘোড়াঘাট থানায় নতুন ওসি আজিম উদ্দিন যোগ দিয়েছেন।
এদিকে, ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে হত্যাচেষ্টা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দুই জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার নন্দনপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, উপজেলায় নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে কর্মরত দুই শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তারা হলেন— উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের মিনারুল ইসলাম ও হুমায়ন। দিনাজপুর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের।
গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নিজে সরকারি বাসভবনে দুর্বত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন ঘোড়াঘাট থানার ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওমর আলী। ওয়াহিদা খানমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলেও তার বাবা চিকিৎসাধীন আছেন রংপুরে। হেলিকপ্টারে করে ঢাকা আনার পর বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াহিদার শরীরে আড়াই ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। ওই রাতেই তার জ্ঞান ফিরেছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ আহমেদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানার একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রধান আসামি আসাদুল হককে (৩৬) হিলি সীমান্তের কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার করে। এর আগে ঘোড়াঘাট থেকে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম (৪২) (আটকের পর বহিষ্কৃত) ও মাসুদ রানা (৩৪) নামে আরও দু’জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরে প্রধান আসামি আসাদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, শুক্রবার দুপুরে ঘোড়াঘাট থেকে মূল পরিকল্পনাকারী রঙমিস্ত্রি নবীরুল ইসলাম (৩২) এবং বিকেকে গোবিন্দগঞ্জ থেকে হরিজন সম্প্রসায়ের সান্টু কুমার বিশ্বাসকে আটক করে র্যাব। শুক্রবার সন্ধা ৭টায় র্যাব-১৩ সদর দফতর রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আসাদুল স্বীকার করেছেন যে চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালায় তিন জন। পরে যুবলীগের জাহাঙ্গীর আলমকে ছেড়ে দেয় র্যাব।
এদিকে, ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শনিবার সন্ধ্যায় পৃথক পৃথকভাবে আরও তিন জনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন— ঘোড়াঘাট উপজেলা সদর ওসমানপুর সাগরপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩৯), চক বামনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার ধারেন দাশের ছেলে শ্যামল দাস (৩০) ও একই এলাকার মৃত তৌমুদ্দিনের ছেলে ইউএনও কার্যালয়ের মালী মো. সুলতান (৩১)।
আটক আরও ২ ইউএনও ওয়াহিদা খানম ওসি প্রত্যাহার ঘোড়াঘাট উপজেলা জিজ্ঞাসাবাদ