কাঁঠালবাগানে এক ব্যারিস্টারের রহস্যজনক মৃত্যু
১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:৫৪
ঢাকা: রাজধানীর কাঁঠালবাগানের একটি বাসায় আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদ (৩৩) নামের এক ব্যারিস্টারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে মৃত জিসাদের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দাবি, তিনি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাঁঠালবাগান ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ১৬৩ নম্বর বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাড়ে ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ বাগবাড়ি এলাকার সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে আসিফ। তিনি সুপ্রিমকোর্টের ব্যারিস্টার ছিলেন। তার বাবাও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী। তিনি পরিবারসহ মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের, রোড ১৭, সি ব্লকে থাকতেন।
মৃত আসিফের শ্যালক সাইমন শাহিদ নিশাদ জানান, চার বছর আগে আসিফ তার বড় বোন সাবরিনা শাহিদ নিশিতাকে বিয়ে করেন। তবে আসিফের পরিবার এটি মেনে নেয়নি। এজন্য আসিফ কাঁঠালবাগানে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। তাদের কোন সন্তান নেই।
তিনি জানান, আসিফ ও সাবরিনার মাঝে মাঝে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। তিনি দাবি করেন, আসিফ মাদকাসক্ত ছিলেন । চার মাস রিহ্যাবেও ছিলেন। গতরাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এক পর্যায়ে আসিফ নয় তলার বারান্দা থেকে রেলিংয়ের ওপর দিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়েন। দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ভোরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে আসিফের বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, আসিফ সু্প্রিমকোর্টের ব্যারিস্টার এবং মতিঝিলে দেশ ট্রেডিং করপোরেশনের লিগ্যাল অ্যাডভাইজারও ছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকই ভোরে খবর দেয় আসিফের অবস্থা ভালো না। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে এসে আসিফে মৃতদেহ দেখতে পাই। আমাদের সন্দেহ আসিফকে মেরে ফেলা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদশর্ক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র জানান, কাঁঠালবাগানের একটি বাসায় আসিফ নামের এক ব্যারিস্টার নয় তলার বারান্দা থেকে পরে মারা গেছেন। আসিফের পরিবারের অভিযোগ আছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।