করোনা রোগীর ‘ভুল’ পরিসংখ্যান তৈরি করা হচ্ছে: রিজভী
১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৩২
ঢাকা: কারোনা আক্রান্ত রোগীর ‘ভুল’ পরিসংখ্যান তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দোহার-নবাবগঞ্জে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। এরপর শোল্লা ও ইকোরিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত লোকের পরিসংখ্যান নিয়ে সরকার যেটা ডাটা তৈরি করছে, সেখানে প্রায় ৮২ হাজার লোকের নাম বাদ পড়েছে। আসলে করোনা আক্রান্ত রোগীর ভুল পরিসংখ্যান তৈরি করছে সরকার। তারা সঠিক পরিসংখ্যানটা দিচ্ছে না। জনগণের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে এক প্রকার প্রতারণা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই যে হঠাৎ একটা বৈশ্বিক মহামারির ধাক্কা— এরজন্য যে ঔষধ, যে হাসপাতাল, যে স্বাস্থ্যবিধি তৈরি করা দরকার, সকার সেটা করেনি। মানুষ রাস্তায় মারা যাচ্ছে, হাসপাতালের বারান্দায় মারা যাচ্ছে, কোনো চিকিৎসা না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সর ভেতরে মারা যাচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘ঢাকা থেকে এই প্রত্যন্ত অঞ্চল, এখানে কোনো লোক করোনায় আক্রান্ত হলে সে কিভাবে বাঁচবে তার বাঁচার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। যদি জনগণের সরকার থাকতো, জনগণের জবাবদিহিমূলক সরকার থাকতো সে বাধ্য হতো যে, না আমাকে আগামী দিনে ভোট নিতে হলে আজকে অসহায় মানুষের পাশে থাকতে হবে।’
‘ওদের তো ভোটের দরকার নাই, ওদের নির্বাচনের দরকার নাই। যার কারণে ওরা জনগণকে কোনো পাত্তা দেয় না’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘সরকার ক্ষমতা দখলে রাখার জন্য, চিরস্থায়ী করার জন্য কয়েকটি পদ্ধতি নিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে বিচারবর্হিভূত হত্যা একটি। আপনার ছেলে অন্য দল করে, ভিন্নমত পোষণ করে, সরকারের সঙ্গে একমত পোষণ করে না। রাত্রের অন্ধকারে সে হারিয়ে যাবে। দুই-তিন দিন পর হয়ত ধান ক্ষেত্রে তার লাশ পাওয়া যাবে, না হয় চিরদিনের জন্য তার হদিস পাওয়া যাবে না।’
রিজভী বলেন, ‘সেনাবাহিনী একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার মেজর সিনহাকে থানার একজন ওসি ধরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে দিল। কোনো বিচার নাই, আইন নাই, কোনো কিছুই নাই। একজন সামরিক বাহিনীর অফিসারের যদি এই পরিণতি হয়, একজন ইউএনও তার মাথায় কুপিয়ে দিল, তার আজকে মরণাপন্ন অবস্থা। চারিদিকে খুন, গুম, হত্যা— এটাই হচ্ছে সরকারের কর্মসূচি।’
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালেও সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।