‘স্বাস্থ্যখাতের যে দুর্নীতি বেরিয়ে এসেছে, তার অবসানের লক্ষণ নেই’
১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:১৮
ঢাকা: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি ও ভঙ্গুর অবস্থায় যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে তার অবসানের কোনো লক্ষণ নেই। বরং ওই দুর্নীতিবাজরাই জেকে বসে আছে। একমাত্র জনদাবিই পারে স্বাস্থ্যখাতের পুনর্গঠনে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করতে।’
শনিবার (১২ সেপ্টম্বর) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভায় ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো এমনকি পাশের দেশ ভারতও ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সরকার থেকে সহযোগিতা করছে। সেখানে বাংলাদেশের গবেষকরা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের হিউম্যান ট্রায়াল পর্যায়ে আছে বলে দাবি করলেও সে ব্যাপারে কারও উৎসাহ দেখি না। সরকার কোনো সহযোগিতা করছে কি না জানা নাই। এখন যখন ভ্যাকসিন আনার কথা বলা হচ্ছে, তখন সেটা কতখানি বাণিজ্যিক, কতখানি মানবিক সাহায্য সেটাও এখনো পরিষ্কার নয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা নিয়ে যে অনৈতিক বাণিজ্য হল, দুর্নীতি হল এবং এখনও অব্যাহত, ভ্যাকসিন নিয়ে সেটা হবে না তা বলা যায় না। যেটুকু বোঝা যায় তা হলো আগামী বছরের শুরুতেও যদি ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, তবে তা দেশের গরীব মানুষ দূরে থাক, মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে থাকবে না। দেশের মানুষকে তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরতে হবে, সহবাসনিরোধ মানতে হবে। ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটিকে ভ্যাকসিন পাওয়া যাক বা না যাক, নগরবাসীকে নিদেনপক্ষে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করতে কর্মসূচি নিতে হবে। করোনা সংক্রামণের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই।’
মেনন আরও বলেন, ‘খেলাপীদের ঋণ হাজার কোটি টাকা মাওকুফ বা পুনঃতফসিল করতে আমরা যত উৎসাহী, ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করি, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার বা ট্রায়ালে তত উৎসাহী নই।’
ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় করোনাকালীন সময়ে মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়। আলোচনায় অংশ নেন কমরেড জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মো. তৌহিদ, কাজী আনোয়ারুল ইসলাম টিপু, বাবুল খান, শাহানা ফেরদৌসি লাকী, মুর্শিদা আখতার, কাজী মাহমুদুল হক সেনা, শিউলি শিকদার, আব্দুল আহাদ মিনার, তপন সাহা, তাপস দাস ও ওমর ফারুক সুমনসহ অনেকে।