Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বাস্থ্য অধিদফতরের আবজালকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ


১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৩৯

ঢাকা: অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দুই মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত কেরানি আবজাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার ( ১৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২৬ আগস্ট আফজাল হোসেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আইনজীবী শাহিনুর ইসলামের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। দুদকের পক্ষ থেকে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে মামলা দুইটির মধ্যে একটিতে আবজাল হোসেন একা আসামি এবং অপর মামলায় তার স্ত্রী রুবিনা খানম যৌথভাবে আসামি। গত বছর ২৭ জুন দুদক উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কার্যালয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানিলন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন।

মামলা দুটিতে আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় দীর্ঘ সময় ধরে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ২৮৪ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২০৭ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের অভিযোগও করা হয়েছে।

আবজালের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি দুদকে পেশ করা সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ২ লাখ ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। আবজালের স্ত্রী রুবিনা খানম ও আবজালকে যৌথভাবে আসামি করে করা মামলায় ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদের কথা বলা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মামলায় বলা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এজাহারে আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকার মানিলন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ফলে আদালতে দুদক আবজালের ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। কিন্তু আদালত ২ মামলায় ৭দিন করে মোট ১৪দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে। ফলে ১৪ দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনে তাকে কারাগার থেকে দুপুর ১টা ১৪ মিনিটে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

আবজাল টপ নিউজ দুদক দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাস্থ্য

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর