বগুড়ার ধুনটে অপরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মাণ, ৯ মাসে খালের পেটে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:০৮
বগুড়া: নতুন সড়ক নির্মাণের ৯ মাসের মাথায় তা ভেঙে পড়েছে খালে। প্রায় নয় মাস আগে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সোনামুয়া হাট থেকে হাসাপোটল গ্রাম পর্যন্ত পাকা সড়কটি প্রায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। এরই মধ্যে সড়কটির ৫০ মিটার অংশ খালের পেটে চলে গেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) অর্থায়নে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে সড়কটি পাকা করার কাজ শুরু হয় এবং ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে শেষ করা হয়েছে। ১ হাজার ৭৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি নির্মাণের ফলে এই এলাকায় গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সড়কটি পাকা করার সময় ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। খালের পাশে সুরক্ষা বাঁধ (গাইডওয়াল) ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মাণ করায় সড়কটি টেকসই হয়নি। এবারের অতি বর্ষণে এই সড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও আবার পাকা সড়কের কিছু অংশ ধসে খালের পেটে চলে গেছে। এই সড়কের পাশে কয়েক দিন ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
এ অবস্থায় সাত দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিতে কমপক্ষে ৫০ মিটার অংশ খালের পেটে ভেঙে পড়েছে। ভাঙনের স্থানে সড়কটি সরু হয়ে যাওয়ায় ওই সড়ক দিয়ে বর্তমানে যান চলাচল করতে পারছে না। তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের কিছু মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন।
স্থানীয়রা জানান, এই সড়ক পথে কমপক্ষে ১০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে। এলাকাটি কৃষিতে সমৃদ্ধ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে গ্রামগুলো থেকে কৃষিপণ্য কিনে নিয়ে যান। সড়কটি ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বসায়ীরা সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। ফলে এখন সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন এলাকার কৃষকেরা। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা দরকার।
সড়কটির নির্মাণ কাজ দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন এলজিইডির ধুনট উপজেলা সার্ভেয়ার সুলভ কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, ‘সড়কটি নির্মাণ কাজে কোনো প্রকার ত্রুটি ছিল না। স্থানীয়রা সড়কের পাশে খাল থেকে বালু উত্তোলনের ফলে সড়কটি টেকসই হয়নি। অতি বর্ষণের কারণে খালে ধসে পড়েছে সড়কের কিছু অংশ। তবে সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ স্থানটি মেরামতের উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে।’
ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, ‘সড়ক ধসে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এই সড়ক পথে স্থানীয় লোকজনের চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এলজিইডির প্রকৌশলীকে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করতে বলা হয়েছে।’
উপজেলা চেয়ারম্যান ধুনট বগুড়া সার্ভেয়ার সুরক্ষা বাঁধ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর(এলজিইডি)