‘বাসার বর্জ্য সংগ্রহে মাসে ১০০ টাকার বেশি চার্জ নেওয়া যাবে না’

ঢাকা: বর্জ্য সংগ্রহে কোনো বাসা-বাড়ি থেকে মাসিক ১০০ টাকার বেশি চার্জ আদায় না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে প্রাথমিক বর্জ্য সেবা সংগ্রহকারীদের (পিসিএসপি) কাজের বিষয়ে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ডিএসসিসি মেয়র এই নির্দেশ দেন।

এ সময় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দিষ্ট হারে আমরা মাসিক চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছি। কোথাও এই হারে ব্যত্যয় করা যাবে না। কোনো পিসিএসপি কোনো বাসা-বাড়ি থেকে ১০০ টাকার বেশি চার্জ আদায় করতে পারবেন না।’

ঢাকাবাসীর একটি বড় অংশ এখনও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলায় অভ্যস্ত উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ঢাকা একটি রাজধানী। রাজধানীর শহর হিসেবে এর মর্যাদা ও সম্মানকে অনুধাবন করতে হবে। তার জন্য এই নিয়মাবলীকে (নতুন আঙ্গিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। নতুন আঙ্গিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সূচি আমরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্ধারণ করেছি। শুরুতে অনেকেই এই সূচি যথাযথভাবে পরিপালন করতে চাইবে না। কিন্তু আমাদের যথাযথভাবে এই সূচি পালন করতে হবে এবং জনগণকেও তা পালনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’

পিসিএসপিদের বর্ধিত হারে বিনিয়োগ ও জনবল নিয়োগের নির্দেশনা দিয়ে শেখ তাপস বলেন, ‘কোথাও কোথাও এখনও দিনের বেলায় বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিষ্কার করা হচ্ছে। এর মানে হলো- আপনারা একাজে এখনও যথাযথভাবে বিনিয়োগ করেননি। আমাদের সূচির বাইরে কিছুই করা যাবে না। তাই কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আপনারা আরও বেশি জনবল ও বেশি বিনিয়োগ করুন। তাহলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আপনারাও অধিক লাভবান হবেন।’

২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর (এসটিএস) করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা নতুন যেসব এসটিএস নির্মাণ করছি, সেগুলো আগের চেয়ে বড়। এতে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের নতুন করে এসটিএস নির্মাণ করতে হবে না।

এ সময় উপস্থিত কাউন্সিলরদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমসহ করপোরেশনের সকল কার্যক্রমে তাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান মেয়র। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে পুরোপুরি সুস্থ ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসা হবে। ২০২২ সালে ঢাকাকে কেউ আর বর্জ্যের শহর বলতে পারবে না। সেজন্য আগামী দিনগুলোতেও আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিবিড় তদারকির মাধ্যমে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিনের সঞ্চালনায় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে পিসিএসপি প্রতিনিধিরা নতুন ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনায় নানা ধরণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও করপোরেশেনর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

১০০ টাকা চার্জ ডিএসসিসি মেয়র বাসার বর্জ্য সংগ্রহ শেখ ফজলে নূর তাপস