Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নওগাঁ-৬ উপনির্বাচন: নৌকার বিজয়ে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার


১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৯:১৩

ঢাকা: নওগাঁ-৬ উপনির্বাচনে নৌকার বিজয়ে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাত উঁচিয়ে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারাবন্ধ হলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্ব নেতা এস এম কামাল হোসেনের সামনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন তারা।

সভায় এই উপনির্বাচেনে আওয়ামী লীগের ৩৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর সবাই নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে নৌকার স্বার্থে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সভায় আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু তা প্রতিহিংসায় রূপ নেবে না। নৌকার সঙ্গে নৌকার কোনো প্রতিযোগিতা নেই। প্রতিযোগিতা করতে হবে দেশবিরোধী, সরকারবিরোধী প্রার্থীর সঙ্গে।

নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, ছলিম উদ্দিন তরফদার ও উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মতবিনিময় সভায় আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘উগ্র মৌলবাদী শক্তি, বামজোট এবং বিএনপি জামায়াতকে দীর্ঘদিন ধরে আত্রাই-রাণীনগরের মানুষ প্রতিরোধ করেছেন। আওয়ামী লীগ সবসময় আপনাদের এ অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলেও আত্রাই-রাণীনগরের মানুষ এখনও অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছেন।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের একটাই ঠিকানা- শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা আছেন বলেই এই আত্রাই-রানীনগর, নওগাঁ, রাজশাহী, জয়পুরহাটসহ সকল জেলার তৃণমূলের নেতাকার্মীরা ভালো আছি। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না থাকলে আপনাদের নওগাঁ কি হতো? বাংলা ভাই ছিল না? শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলেই আপনারা ভালো আছেন।’

তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনে শেখ হাসিনা হেরে গেলে, শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্ব চলে যাবে না, সাধন দার মন্ত্রিত্ব যাবে না, স্বপন ভাইয়ের হুইপ চলে যাবে না। কিন্তু হেরে গেলে ঢাকার প্রেস ক্লাবে দাঁড়িয়ে বিএনপি বলবে, নৌকার জনপ্রিয়তা কমে গেছে, শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা নাই। আমরা আন্দোলন করতে চাই, শেখ হাসিনার অধীনে আর নির্বাচন নয়। আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নাই। এই কথাটা বলবে। এই কথাটা কি আপনারা তাদের বলতে দেবেন?

এসএম কামাল বলেন, ‘আমি কিন্তু ঢাকায় বসে দায়িত্ব পালন করার লোক না। আমি কিন্তু ইতোমধ্যে চার চার বার ঈশ্বরদীতে এসেছি। ভোট করবেন, এই নির্বাচনের পর আমি সম্মেলন শুরু করব। তখন নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিন্তু মূল্যায়ন হবে। আমি কাউকে মনোনয়ন দিতে পারি না, কিন্তু ঠেকাতে পারি। প্রার্থীতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে, থাকতে পারে। আমিও স্বীকার করি। আমিও স্বপ্ন দেখি এমপি হওয়ার। কিন্তু কপালে নাই, তাই হই না। কিন্ত্র নেত্রী আমাকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বানিয়েছেন। এজন্যই আমি উনাকে ধন্যবাদ জানাই। সবাই তো এমপি হতে পারে না। যার কপালে এমপি লেখা আছে সেই হবে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে কথা বলার সুযোগ দিতে চাই না। যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, যাদের অস্তিত্ব নাই, যারা বঙ্গবন্ধুর খুনি, যাদের নেত্রী আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে হত্যা করার জন্য ১৩টি গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল, যে হামলায় আইভী রহমানসহ আমাদের ২৪ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন; যারা ক্ষমতায় আসার পর এই উত্তরাঞ্চল তথা গোটা বাংলাদেশে জঙ্গিরা অস্ত্র উঁচিয়ে মিছিল করেছে তাদের আমরা সুযোগ দিতে চাই না।

বিজ্ঞাপন

এস এম কামাল বলেন, ‘নৌকা হারলে শেখ হাসিনা হারে, হেলাল সাহেব কিন্তু হারে না। হেলাল সাহেব ব্যক্তিগতভাবে বলবে, আমি হেরে গেছি। কিন্তু হারবে কে? আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারবে, শেখ হাসিনার প্রার্থী হারবে, শেখ হাসিনা হারবে, আওয়ামী লীগের নেতারা হারবেন। কারণ শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, আপনারা তার মূল শক্তি। আমি তাই আপনাদের কাছে বলি, আপনারা নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।’

আওয়ামী লীগ এস এম কামাল নওগাঁ-৬ উপনির্বাচন সাংগঠনিক সম্পাদক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর