ডিআইজি মিজান ও বাছিরের ঘুষ লেনদেনের মামলায় ২ জনের সাক্ষ্য
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৫৩
ঢাকা: পুলিশ বাহিনী থেকে সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক থেকে সাময়িক বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের মামলায় আরও দুই জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ বিচারক শেখ নাজমুল আলম সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ৭ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
সাক্ষীরা হলেন- দুদকের উচ্চমান সহকারী জিল্লুর রহমান ও প্রধান সহকারী এএসএম আবু জাফর বিশ্বাস। এ নিয়ে মামলাটিতে মোট ১৭ সাক্ষীর মধ্যে চার জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
এদিন আসামি মিজানুর রহমান ও এনামুল বাছিরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়ার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন পুলিশের বিতর্কিত এই কর্মকর্তা। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনা তদন্ত করছিলেন এনামুল বাছির। মিজান এ সম্পর্কিত অডিও রেকর্ড বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সরবরাহ করেন। এরপর দুদক তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে কমিশন খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অভিযোগের মামলা ঘুষ লেনদেন ডিআইজি মিজান ডিআইজি মিজান ও বাছির সাক্ষ্য