কোতোয়ালী থানার ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৩৯
ঢাকা: ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) ছয় জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহার করেছেন বাদি।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমান আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
এর আগে, গত ১০ আগস্ট মামলাটি দায়ের করেন কোতোয়ালী থানা এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী মো. সোহেল মীর। ওইদিন মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী সোহেল মীর আদালতে হাজির হয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।
মামলাতে যাদের আসামিরা করা হয়েছিলো তারা হলেন- কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) পবিত্র সরকার, খালেদ শেখ ও মো. শাহিনুর, কনস্টেবল মিজান এবং পুলিশের সোর্স মোতালেব।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঈদের পরদিন ২ আগস্ট বিকেল চারটা থেকে সাড়ে চারটার দিকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতয়ালী থানার ওয়াইজঘাট এলাকা দিয়ে বসুন্ধরায় মেয়ের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন মো. সোহেল। পথে পুলিশ তাকে ঘেরাও করে তল্লাশি করে পকেটে থাকা ২ হাজার ৯০০ টাকা নিয়ে নেয়।
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়: ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
তল্লাশি শেষে পুলিশ তাকে চলে যেতে বললে সোহেল টাকা ফেরত চান। তখন পুলিশের সদস্যরা তাকে মারধর করা হয়। পরে লোকজন এসে কি হয়েছে জানতে চাইলে আসামিরা বলে তার পকেটে দুই প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া গেছে। এরপর টেনে হেঁচড়ে তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জেএমবির ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি বলে ফাঁসাতে চান পুলিশ সদস্যরা। পরে পরিবারের সদস্যরা থানায় গেলে আসামিরা তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না হলে ক্রসফায়ারের হুমকি দেন।
আরও জানা যায়, সোহেলের পরিবারের সদস্যরা রাতেই আসামিদের দুই লাখ টাকা দেন। পরে সকালে আরও এক লাখ টাকা দেন। টাকা দেওয়ার পর সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে বসে তিনি মাদক সেবন করছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করছিলেন। আবার আসামিরাই তাকে জামিন করিয়ে আনেন।
ওই ঘটনায় ভিকটিম পেনাল কোডের ৪২০/৪০৬/৫০৬/১০৯/৩৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৪৭ ধারাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(১)(ক)(খ) ধারায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন।