Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্ববাজারে বাড়ছে ওয়ালটন এসির চাহিদা


১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:১৩

ঢাকা: করোনা মহামারিতে স্থবির হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য তথা বিশ্ব অর্থনীতি। করোনার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই পায়নি বাংলাদেশের অর্থনীতিও। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে সুবাতাস নিয়ে আসছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। করোনাকালেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করেছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ এয়ার কন্ডিশনার বা এসি।

জানা গেছে, করোনা মহামারির প্রভাব কমতে না কমতেই বিশ্বের অনেক দেশেই ওয়ালটনের পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ইয়েমেন, নেপাল, পূর্ব তিমুর ও ভারতে রফতানি হয়েছে ওয়ালটনের তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ইনভার্টার এসি। শুধু এসি নয়, রফতানি হয়েছে ওয়ালটনের তৈরি টেলিভিশন, কম্প্রেসরসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে জাতীয় অর্থনীতিতে ওয়ালটনের রফতানি বাণিজ্য বিশেষ অবদান রাখবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও এসি বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর রহমান জানান, দেশের মতো আন্তর্জাতিক বাজারেও ওয়ালটনের তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এসির চাহিদা বাড়ছে ব্যাপক। বিশেষ করে ওয়ালটনের তৈরি ইনভার্টার এসি বিশ্ববাজারেও ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পাচ্ছে। তাই করোনার প্রভাব কমতেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডগুলো আমদানি করছে ওয়ালটনের তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ ইনভার্টার এসি। যা শুধু ওয়ালটনের জন্যই নয়; জাতীয় অর্থনীতির জন্যও সুখবর বলে মনে করছেন তিনি।

ওয়ালটন এসি গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সন্দ্বীপ বিশ্বাস জানান, গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড ও টেস্টিং সনদ নিয়েই এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশে রফতানি হচ্ছে ওয়ালটন এসি। নিজস্ব কারখানায় ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) পদ্ধতিতে অর্থাৎ বিভিন্ন দেশের খ্যাতানামা ব্র্যান্ডের দেয়া ডিজাইন, মান ও অন্যান্য শর্তানুযায়ী বা চাহিদা মোতাবেক এসি তৈরি করে দিচ্ছে ওয়ালটন। ওই সব ব্র্যান্ডের মাধ্যমে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত ওয়ালটনের তৈরি এসি বিশ্ব ক্রেতাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। উন্নতমান ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে ওয়ালটন এসি দ্রুত
জয় করে নিচ্ছে বিশ্ব ক্রেতাদের আস্থা।

বিজ্ঞাপন

দেশ ও বিদেশের বাজারে ইনভার্টার এসির ব্যাপক চাহিদা প্রসঙ্গে এসি আরএনডি বিভাগের প্রধান বলেন, ওয়ালটনের নতুন ‘সুপারসেভার’ মডেলের ইনভার্টার এসিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত। এই এসিতে ব্যবহৃত ডুয়েল ডিফেন্ডার ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি ঘরকে রাখে ধুলাবালি, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসমুক্ত। রিমোট কন্ট্রোল ছাড়াই ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে
সহজেই এসির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অর্থাৎ কমানো, বাড়ানো, বন্ধ বা চালু করা যায়। এসির কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ ও আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড, যা ঘরকে দ্রুত ঠান্ডা করে। এছাড়া ইভাপোরেটর এবং কন্ডেন্সারে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি ব্যবহার করায় ওয়ালটন তৈরি এসি অনেক বেশি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।

ওয়ালটনের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের (আইবিইউ) শাখার প্রধান এ্যাডওয়ার্ড কিম জানান, ওয়ালটনের টার্গেট বিশ্বের সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ডের তালিকায় স্থান করে নেয়া। সেজন্য নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাশাপাশি ওইএম এর মাধ্যমে রফতানি বাজার সম্প্রসারণের প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। বিশ্ব ক্রেতাদের হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিবেশবান্ধব ও ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড পণ্য তুলে দেয়া হচ্ছে। ফলে, প্রতিনিয়ত ওয়ালটন পণ্যের নতুন নতুন রফতানি বাজার তৈরি হচ্ছে।

ওয়ালটন ওয়ালটন এসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর