চট্টগ্রাম ব্যুরো: নগরবাসীর যেকোনো সমস্যার কথা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে জানালে একঘণ্টার মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এছাড়া রাস্তায় গাড়ি রাখলে সেই গাড়ি তুলে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরবাসীর অভাব-অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক সমাধান দিতে চতুর্থ দফায় স্কুটি চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন অলিগলিতে যান সুজন। নগরীর বাদামতলী মোড় থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিমতলা পর্যন্ত যান তিনি। এসময় বিভিন্ন পয়েন্টে উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে এসব কথা বলেন সুজন।
চসিকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এলাকার লোকজনের উদ্দেশে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘আমি আপনাদের অভাব-অভিযোগের কথা আপনাদের মুখ থেকে নিজে শুনতে চাই। সেজন্য আমি ক্যারাভান কর্মসূচি শুরু করেছি। আপনারা আমাকে আপনাদের সমস্যার কথা সরাসরি জানান। আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যেকোনো সমস্যার কথা লিখে জানান। আমি কথা দিচ্ছি, একঘণ্টার মধ্যে সমাধান করব। আপনারা ট্যাক্স নিয়মিত পরিশোধ করবেন আর সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে সেবা শতভাগ বুঝে নেবেন।’
এসময় তিনি আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে কেউ কোনো অন্যায়-অরাজকতা করলে কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে জানান।
যততত্র গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সুজন বলেন, ‘পোর্ট কলোনি থেকে নিমতলা পর্যন্ত এলোপাতাড়ি লরি রেখে যানজট তৈরি করা হয়। কোনো রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান আছে। সেখানে পার্কিং না করে রাস্তায় রাখলে গাড়ি তুলে নেওয়া হবে।’
যাত্রাপথে খোরশেদ আলম সুজন টিঅ্যান্ডটি কলোনির সামনে ফুটপাতের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ কাঁচাবাজার দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেটি তাৎক্ষণিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতের ওপর থেকে ইট-বালিসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীও অপসারণ করেন।
এসময় সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন।