ওজোন স্তর রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকা সামনের সারিতে
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৩১
ঢাকা: ওজোন স্তর রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকা সামনের সারিতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ওজোন রক্ষায় অসামান্য অবদান রাখায় বাংলাদেশ জাতিসংঘের কাছ থেকে পুরস্কৃত হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একদিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ওজোন স্তর রক্ষাসহ আন্তর্জাতিক যে চুক্তিগুলো রয়েছে তা পালনে যথেষ্ট ভূমিকাও পালন করছে। এ কারণে ওজোন স্তর রক্ষায় অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা এগিয়ে রয়েছি। আমরা গ্রিন এনার্জি তৈরিতে কাজ করছি। প্রাইভেট সেক্টরে উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানাগুলোকে গ্রিন রাখতে সহযোগিতা করছি।
বিশ্ব ওজোন দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল— ‘বিশ্ব ওজোন দিবস: ওজোন স্তর রক্ষায় ৩৫ বছর’। ১৯৮৫ সালে ভিয়েনা কনভেনশনের মাধ্যমে ওজোন স্তর রক্ষার চুক্তি হয়। তখন এই দিনটি আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস পালিত হতো। ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোর সম্মতির ভিত্তিতে এটি বিশ্ব ওজোন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, ওজোন স্তর নিয়মিত ক্ষয় হচ্ছে। এটি বন্ধ করতে না পারলে পৃথিবীতে মানুষ, পশুসম্পদ এমনকি প্রাণীকূল ও উদ্ভিদ— সবাইকে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ওজোন স্তর আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির হাত থেকে প্রতি মুহূর্তে রক্ষা করছে। কাজেই এই ওজোন স্তরকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
বিশ্ব ওজোন দিবসের অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহমদ বলেন, ওজোন স্তর রক্ষায় আমরা কাজ করছি সব সেক্টরে। বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন রোধে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। পুরাতন জিনিসপত্র সাস্টের সময় গ্যাস কমে নির্গত করার জন্য আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। প্রাইভেট সেক্টর, যেমন ওয়ালটনের সঙ্গে আমরা গ্রিন টেকনোলজি নিয়ে কাজ করছি। বেক্সিমকোসহ আমরা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে গ্রিন এনভায়রনমেন্ট নিয়ে কাজ করছি। সামনে আরও বেশি কাজ করতে হবে।
ওজোন দিবস পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী বন বিশ্ব ওজোন দিবস শাহাব উদ্দিন