কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৭ নভেম্বর
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:১৩
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। শুনানির জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জ কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ তারিখ ঠিক করেন।
মামলাটিতে আজ বৃহস্পতিবার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে সময় আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর ও ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা যাওয়ায় এখন আসামির সংখ্যা ১০ জন।
খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি ৯ আসামি হলেন— সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান ও সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।