‘নাভালনিকে পানির সঙ্গে বিষ দেওয়া হয়েছিল’
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৩৮
রাশিয়ার ফ্যাসিজমবিরোধী শীর্ষ নেতা আলেক্সি নাভালনিকে সাইবেরিয়ায় তার হোটেল রুমে পানির বোতলে মিশিয়ে নোভিচক বিষ দেওয়া হয়েছিল বলে তার সমর্থকদের একটি গ্রুপ দাবি করেছেন। খবর রয়টার্স।
সম্প্রতি আলেক্সি নাভালনির নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত এক ভিডিতে দেখা যায় নাভালনি সমর্থকদের একটি গ্রুপ সাইবেরিয়ার ওমস্ক শহরের ওই হোটেল রুম থেকে একটি পরিত্যক্ত পানির বোতল উদ্ধার করছেন।
রাশিয়ার অ্যালেক্সি নাভালনিকে নিয়ে আরও খবর –
- পুতিনবিরোধী আন্দোলন, আলেক্সি নাভালনি গ্রেফতার
- নাভালনিকে ‘নোভিচক’ বিষ দেওয়া হয়েছিল: জার্মানি
- নাভালনিকে ‘সম্ভবত’ বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল
- উন্নত চিকিৎসার্থে জার্মানিতে নাভালনি
নাভালনির সমর্থক ওই গ্রুপটি দাবি করছে, রাশিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার কোনো নার্ভ এজেন্ট প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে পানির বোতলে (তাদের উদ্ধার করা) নোভিচক বিষ মিশিয়েছিলেন এমন প্রমাণ মিলেছে।
https://www.instagram.com/p/CFOnffrHZ0d/
এর আগে অবশ্য, নাভালনি সমর্থকদের অপর একটি দল দাবি করেছিল অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে রাশিয়া ফেরার পথে এয়ারপোর্টে নাভালনির চায়ের সঙ্গে বিষ মেশানো হয়েছিল।
বর্তমানে, অ্যালেক্সি নাভালনি জার্মানির বার্লিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইউরোপীয় দেশগুলোর আলাদা আলাদা কয়েকটি ল্যাবটেস্টে নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়েছে।
অন্যদিকে, বিরোধী মতামত দমনের লক্ষ্যে নাভালনির ওপর ‘সোভিয়েতপন্থায়’ নার্ভ এজেন্ট হামলাটি প্রেসিডেন্ট পুতিনের আগ্রহ থেকেই হয়েছে – নাভালনি সমর্থক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ক্রেমলিন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে কয়েকদফা তার মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নাভালনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার পেছনে সরকারি কোনো দায় নেই বরং প্রেসিডেন্টই তার স্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে চিকিৎসার জার্মানিতে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ায় সংবিধান সংশোধনকল্পে এক গণভোটে জয়ী হয়ে ভ্লাদিমির পুতিন ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকার বৈধতা অর্জন করেছেন। তারপর থেকেই রাশিয়ায় ফ্যাসিজম বিরোধী মতামত দমন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ জোরেসোরে ওঠা শুরু হয়েছে।
শুধু তাই নয়, প্রতিবেশি বেলারুশের কোণঠাসা হয়ে পড়া একনায়ক আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোকেও নৈতিক এবং অর্থনৈতিক মদত দিচ্ছেন পুতিন – ইউরোপের শীর্ষ রাজনীতি বিশ্লেষকরা এমন অভিমতও দিয়েছেন।
অ্যালেক্সি নাভালনি আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জার্মানি ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া