জেকেজি’র ডা. সাবরিনা-আরিফসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের সাক্ষ্য
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৩৮
ঢাকা: করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নামে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা ও জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ আট জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম। মামলাটিতে এ নিয়ে ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। পরে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন নির্ধরণ করেন আদালত।
ডা. সাবরিনা ও আরিফুল ছাড়া মামলার চার্জশিটভুক্ত বাকি ছয় আসামি হলেন— সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। বর্তমানে আট আসামিই কারাগারে রয়েছেন।
গত ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত। এর আগে মামলার তদন্ত শেষ করে গত ৫ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী চার্জশিট জমা দেন।
চার্জশিটে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্তকালে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাকে গত ১২ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর তারা কয়েক দফায় রিমান্ডে ছিলেন।
আরিফুল করোনা পরীক্ষা জালিয়াতি জেকেজি জেকেজি হেলথকেয়ার ডা. সাবরিনা প্রতারণা