কুড়িগ্রামে তীব্র নদীভাঙ্গন, পানিবন্দি ১৩৫০ পরিবার
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:১৭
কুড়িগ্রাম: কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে তীব্র হয়ে উঠেছে নদীভাঙ্গন। ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের ২০টি পয়েন্টে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৫৪ বাড়ি। পানিবন্দি হয়ে খোলা আকাশের নিচে বাস করছে ১৩৫০ পরিবার। পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের রোপা আমন ক্ষেত।
গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল। দীর্ঘ দেড় মাস বন্যার পর ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই নদ- নদীর পানি আবার বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ।
অন্যদিকে তীব্র স্রোতের কারণে জেলার কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব, কাউয়াহাগার ঘাট, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমনের চর, মোগলবাসা ইউনিয়নের চরশিতাইঝাড় ও সন্নাসী, রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কালুয়া এলাকায় ধরলার ভাঙ্গন তীব্র হয়ে উঠেছে। তিস্তার ভাঙ্গনের উলিপুরের দলদলীয় ইউনিয়নের ঠুটা পাইকরসহ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে সদরের যাত্রাপুর, রৌমারী, রাজিবপুর, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান জানান, গত দুইদিনে ধরলার ভাঙ্গনে ইউনিয়নের জগমনের চর এলাকার ৫৪টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এসব পরিবার খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও ১৩৫০টি পরিবার পানিবন্দি জীবনযাপন করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানায়, উজানে ও স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। ভাঙ্গনরোধে বিভিন্ন এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।