তাইওয়ানে মার্কিন দূত, সাগরে চীনের মহড়া
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:৪৬
মার্কিন প্রশাসনের অর্থনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কেইথ ক্রাচ তিন দিনের সফরে তাইওয়ানে নামার পর থেকেই, স্বশাসিত দ্বীপটির কাছে তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। খবর বিবিসি।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের ওই শীর্ষ কর্মকর্তা বৈঠকে বসবেন বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, শুক্রবার থেকেই তাইওয়ান প্রণালীর কাছে ‘লাইভ ফায়ার এক্সারসাইজ’ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চীন তাইওয়ানকে তাদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলেই বিবেচনা করে। তাইওয়ান স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে চীন।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, তাদের সুরক্ষায় সহায়তা দিতে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ওয়াশিংটন তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার দিকে মনোযোগ বাড়িয়েছে।
পাশাপাশি, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের আনাগোনাও বেড়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
অন্যদিকে, কেইথ ক্রাচই গত কয়েক দশকের মধ্যে তাইওয়ান সফরে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা – বলেছে বিবিসি।
এই মার্কিন দূতের তাইওয়ান সফর নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও, শুক্রবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রেন গুকায়াং যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের বিরুদ্ধে ‘অশুভ আঁতাত এবং ঘন ঘন ঝামেলা সৃষ্টির’ অভিযোগ এনেছেন।
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে নিয়ন্ত্রণ আর বিদেশিদের ওপর ভর করে নিজেদের গড়ে তোলা – এ ধরনের ভাবনা নিছকই দিবাস্বপ্ন।
তাইওয়ানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ওই চীনা কর্মকর্তা বলেন – যারা আগুন নিয়ে খেলবে, তারা আগুনে পুড়ে মরবে।
এছাড়াও, মূল ভূখণ্ডের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় চীন যে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে তা বৈধ ও প্রয়োজনীয় – বলে উল্লেখ করেছেন ওই মুখপাত্র।
চীন ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ান তাইওয়ান প্রণালী যুক্তরাষ্ট্র সামরিক মহড়া