নেত্রকোনায় অতিবর্ষণে তলিয়ে গেছে একহাজার হেক্টর জমির আমন
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:২৬
নেত্রকোনা: অতিবর্ষণ ও খালে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণে নেত্রকোনা সদর উপজেলার মৌগাতী ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের কমপক্ষে একহাজার হেক্টর জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। খালের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে পুকুর তৈরি করে মাছ চাষ করায় জমিতে থাকছে অতিরিক্ত পানি। এতে ফসলহানির আশঙ্কা করছেন সমস্ত গ্রামের কৃষকরা।
নেত্রকোনা জেলায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কয়েক দফা বন্যার কারণে এবার এমনিতেই কয়েকটি উপজেলায় কৃষকদের আমন আবাদ বিলম্ব হয়। বন্যার পানি কিছু কমলে বিলম্বে চাষাবাদ করে আমন জমিতে চড়া দামে ধানের চারা কিনে তা রোপণ করে আবাদ শুরু করেন কৃষকরা।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি, অপরদিকে জামাটি গ্রামের কয়েকজন প্রভাবশালী গ্রামের খালের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে পুকুর বানিয়ে করছে মাছ চাষ। এতে বন্ধ রয়েছে পানি নিস্কাশন এতে করে সদর উপজেলার মৌগাতী ইউনিয়নের জামাটি, নাটেরকোনা,আসনউড়া, টিকুরী, বাদে সুবুন্দিয়া, সুবুন্দিয়াসহ প্রায় ১০টি গ্রামের কমপক্ষে এক হাজার হেক্টর আমন ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফসলহানীর ভয়ে রয়েছেন কৃষকরা।
কৃষক জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, এলাকার বেশির ভাগ ফসলি জমি পানির নিচে, বাকি জমিও তলিয়ে যাওয়ার পথে। জামাটি গ্রামের খালের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে বাঁধ দিয়ে ছোট ছোট পুকুর তৈরি করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে বাড়ি-ঘর। আমাদের গ্রামের খালটি বন্ধ থাকায় নদীতে পানি নামতে পারছে না। এতে এলাকার বোরো ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
নেত্রকোনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘বিষয়টি অবহিত হয়ে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেছেন। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে আসায় ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তায় পরবর্তীতে প্রনোদনার ব্যবস্থা করা হবে। আর খালের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে ছোট ছোট পুকুর তৈরি করার বিষয়ে পানি কমার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।