Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গন্তব্য পছন্দ না হলে যায় না ৮৭ ভাগ অটোরিকশা


১১ মার্চ ২০১৮ ১৮:৩০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক জরিপে উঠে এসেছে, গন্তব্য পছন্দ না হলে যেতে চায় না শতকরা ৮৭ ভাগ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। চুক্তিতে চলে ৯৬ ভাগ, বকশিস দাবি করে ৯১ ভাগ আর মিটার ছাড়া চলে ৪৮ ভাগ।

রোববার (১১ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৪৮ শতাংশ অটোরিকশা বেআইনিভাবে ঢাকা মহানগরে চলছে। কেবল মহনগরে চলার অনুমতি নেই এমন অটোরিকশা নয়, প্রাইভেট অটোরিকশাও যাত্রী পরিবহন করছে।এদের মধ্যে ৯১ শতাংশ ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত টাকা বা বকশিস দাবি করে।

‘ইকোনমিক লাইফ শেষে কেমন চলছে অটোরিকশা’ শিরোনামে সংস্থাটি গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে।

পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির সদস্যরা গত ১ থেকে ১০ মার্চ রাজধানীর ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এ সময় ২৩০টি অটোরিকশায় যাত্রী সেবার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং ৪২২ জন অটোরিকশা যাত্রীর সাক্ষাতকার নেওয়া হয়। ১৮টি পয়েন্ট হলো যাত্রাবাড়ী, সদরঘাট, গুলিস্তান, প্রেস ক্লাব, পল্টন, কাকরাইল, বাড্ডা, মতিঝিল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, খিলগাঁও চৌরাস্তা, ফকিরাপুল, ফার্মগেট, মালিবাগ, মিরপুর-১০, ধানমন্ডি, এলিফেন্টরোড, শাহবাগ ও বিমানবন্দর।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি প্রতিবেদনে জানানো হয়, অনিয়ম প্রতিরোধে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব এলাকায় বিআরটিএ, ট্রাফিক পুলিশ বা অন্যকোনো সংস্থার তৎপরতা দেখা যায়নি।

যাত্রীদের অভিযোগ, রাত ৯টার পর এবং সকাল ৮টার আগে কোনো অটোরিকশা মিটারে চলছে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়। অটোরিকশা চালক কেবল তার পছন্দের গন্তব্যে যেতে রাজি হন। চুক্তিতে চলা অটোরিকশা মিটারে আসা ভাড়ার চেয়ে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৭১০.৮১ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। চাহিদার তুলনায় অটোরিকশার সংখ্যাও কম। ফলে চালকদের কাছে যাত্রীরা বছরের পর বছর জিম্মি হয়ে আছে। সিটি করপোরেশন টোলের নামে চাঁদা নিচ্ছে, ফ্লাইওভারের টোল ও যানজটের জরিমানা ওয়েটিং বিলের নামে পুরোটাই যাত্রীর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এসব সংকট নিরসনে যাত্রী কল্যাণ সমিতি কয়েকটি সুপারিশ করে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীতে ৪০ হাজার নতুন অটোরিকশা অনুমোদন দেওয়া, গণমালিকানার পরিবর্তে কোম্পানিভিত্তিক অথবা অ্যাপভিত্তিক অটোরিকশা পরিচালনার ব্যবস্থা করা, মিটারবিহীন ও প্রাইভেট অটোরিকশা চলাচল বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া, জমা ও ভাড়া বৃদ্ধি, সিলিং নির্ধারণ, মনিটরিং কমিটিতে যাত্রীসাধারণের প্রতিনিধিত্ব রাখা, নীতিমালা লঙ্ঘন করে চলা অটোরিকশা এক বছর ডাম্প করে রাখার সুপারিশ করে সংগঠনটি।

 

সারাবাংলা/টিএম/এটি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর