‘দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে প্রধানমন্ত্রী ৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন’
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:১২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ হাজার ৮০০ মাদরাসা ভবন নির্মাণের জন্য ছয় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের আহমদিয়া করিমিয়া ছুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসার ছয়তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপমন্ত্রী একথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিদিন সকালে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিন শুরু করতেন। বঙ্গবন্ধু তার পরিবারের সদস্যদের দ্বীনি শিক্ষা দিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন সকালে তাহাজ্জুদের নামাজ এবং কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিন শুরু করেন। দ্বীনের প্রতি দরদ শেখ হাসিনা তার পিতার কাছ থেকে বংশপরম্পরায় পেয়ে এসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ১ হাজার ৮০০ মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের জন্য ছয় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এইদেশে দ্বীনি শিক্ষার প্রসারকে আরও শক্তিশালী করতে চান ‘ এ সময় তিনি সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে দ্বীনি শিক্ষার প্রসারকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
একই অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘ইসলামী শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশে এমন কোনো মাদরাসা নেই, যেখানে অনুদান দেওয়া হয়নি। সারাদেশে যখনই-যে মাদরাসার জন্য অনুদান চাওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সাথে সাথেই অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি অসংখ্য মাদরাসা এমপিওভুক্ত করেছেন। দেশের সকল মাদরাসায় এখন উন্নয়নের জোয়ার চলছে।’
মাদরাসা গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম বিভাগের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, অধিদফতরের জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী জালাল উদ্দিন চৌধুরী, মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন খতীবজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ ইলিয়াস, নুরুল আলম মিয়া, শাহীন আক্তার রোজী, বখতিয়ার ফারুক প্রমুখ।