চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত চারুকলা ইনস্টিটিউটের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কক্ষে ৫০ বছর পূর্তির উদ্বোধন করেন প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য শিরিণ আখতার বলেন, ‘মনের অব্যক্ত অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলাই চারুশিল্পীদর অন্যতম কাজ। দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে চারুশিল্পীরা সৃষ্টিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে নিজ নিজ অবস্থান নিজেদের সুদৃঢ় করার পাশাপাশি এই ইনস্টিটিউট তথা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও সুনাম বৃদ্ধি করছে। এটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। দেশ বিদেশের একটি পরিচিত নাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এই ইনস্টিটিউট যোগ্য মানবসম্পদ উৎপাদন অসামান্য ভূমিকা রেখে চলছে। এই ইনস্টিটিউট থেকে শিক্ষাজীবন সমাপ্তকারী বেশিরভাগ শিক্ষার্থী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় তাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে অত্যান্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। তাদের উত্তরাত্তর সমৃদ্ধি কামনা একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের এই অর্জন ও সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে জ্ঞান-গবষণায় অধিকতর মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান উপাচার্য।’
এছাড়া, অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফসর ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ। পরে উপাচার্য সকলক সঙ্গে নিয়ে ইনস্টিটিউটের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটেন।
সহযোগী অধ্যাপক সুফিয়া বেগমের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রণব মিত্র চধুরী।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চবি সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী, চবি চিকিৎসা অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা সলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ও চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর সৈয়দ সাইফুল কবীর। অনুষ্ঠানে চবি কলজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তীসহ চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে সঙ্গে নিয়ে চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট সেমিনার, সিম্পাজিয়াম, ওয়ার্কসপ, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান উদযাপন করা হবে।