Friday 04 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিদ্যুতের মিটার চুরি করে ফোনে টাকা আদায়


২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:২০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফাইল ছবি

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সেচ ও চাতাল কলের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটছে। মিটার চুরির পর মিটারের স্থানে রেখে যাওয়া হয় চোরের মোবাইল নম্বর। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলেই অপর প্রান্ত থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। দর কষাকষির পর তাদের দেয়া বিকাশ নম্বরে টাকা দিলে চোরের দেয়া তথ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় পাওয়া যায় চুরি যাওয়া মিটার।

জানা গেছে, গত এক মাসে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় এক ডজন বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর চক্রের একটি শক্তিশালী দল মিটার চুরি করে তাদের ফোন নম্বর রেখে যায়। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে বিকাশে টাকা পরিশোধের মাধ্যমে মিটারটি আবার ফেরতও পাওয়া যায়। এসব মিটার চুরির সঙ্গে পল্লীবিদ্যুতের নিজস্ব লোক জড়িত বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। তবে পুলিশ বলছে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর ধরা হবে।

বিজ্ঞাপন

এলাকার একজন ভুক্তভোগী জানান, মিটার হারানোর পরে মিটারের স্থানে রেখে যাওয়া নম্বরটিতে ফোন দিই। তারা ১০ হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি থানায় অবগত করার পরও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এরপর চোরের দেয়া একটা বিকাশ নম্বরে ৮ হাজার টাকা দেয়ার পর মিটার উদ্ধার হয়। মিটার চুরির পর থানায় জিডি করেও কোন প্রতিকার পাইনি। পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। চোরের সঙ্গে ৫০ বারের বেশি মোবাইলে কথা হয়েছে।

আরেকজন ভুক্তভোগী জানান, তারা টাকা ছাড়া মিটার দিতে রাজি হয়নি। পরে চোরের বিকাশ নম্বরে ৬ হাজার টাকা দেয়ার পর তাদের দেয়া তথ্যে নির্দিষ্ট স্থান থেকে মিটার উদ্ধার করি।মিটার চুরির সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন জড়িত। কেননা ফোন নম্বর ব্যবহার করে মিটার চুরির পরও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

গাইবান্ধা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. ছানাউল্লাহ বলেন, মিটার চুরি হলে আমরা গ্রাহককে থানায় জিডি করতে বলি। জিডির কপি জমা দিলে আবারও তাদের মিটার দেয়া হয়। এক্ষেত্রে কিছুটা কম টাকা নেয়া হয় তাদের কাছ থেকে।

গাইবান্ধা মিটার চুরি