চাকরির আশ্বাসে প্রতারণা, গ্রেফতার ১৪ প্রতারক
২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:০৬
ঢাকা: চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে নিয়োগ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি চক্র। এমন অভিযোগের পেয়ে অভিযান চালিয়ে চক্রটির ১৪ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সারাবাংলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক। তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের সুর্নিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ভুয়া চাকুরিদাতা তিন প্রতিষ্ঠানের ১৪ প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় চাকরিপ্রার্থী ৪৪ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মামুন হোসেন বিল্লাল (৩৬), মো. উজ্জল মিয়া (২৫), মো. শরিফুল ইসলাম (২২), মো. সোহাগ খাঁন (২২), মো. আমানুল ইসলাম (২২), মো. জাকির হোসেন (২৪), মো. রায়হান (২০), ফোরকান উদ্দীন (৩০), মনিরুল ইসলাম (২৪), মো. রাহাত হাওলাদার (২৪), মো. আহাদ (২৫), মো. আবু রায়হান (২২), মো. সাহিবুর রহমান (২২) এবং মো. আলিফ হোসেন (২০)।
এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ২৪টি ভর্তি ফরম বই, ১০টি ভিজিটিং কার্ডের বক্স, ৭০ পাতার চাকুরির নিয়োগ ফরম, ৭টি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ৯৭ হাজার টাকা, ৫ টি রেজিস্টার, ১টি নোট বুক, ১টি খাতা, ৫২ সেট চাকরিপ্রার্থীর জীবন বৃত্তান্ত, ৮টি সিল, ২টি পরিচয়পত্র, ৫টি ভুয়া পোস্টিং ফরম জব্দ করা হয়।
র্যাব-৪ অধিনায়ক এডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, ভুক্তভোগীদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, ‘দিকরা সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস লিমিটেড নামক একটি কোম্পানী চাকরিপ্রার্থী মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল রোববার বিকেল ৩ টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ‘দিকরা সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস লিমিটেড পল্লবী’, ‘আনোয়ারা লজিস্টিক এন্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড’ এবং ‘আনোয়ার লজিস্টিক এন্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড’, এ তিনটি শাখা থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভুয়া চাকরিদাতা প্রতারক চক্রের ১৪ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ৪৪ জন ভুক্তভোগী চাকুরীপ্রার্থীকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অফিস ভাড়া করে বিভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মধ্যশিক্ষিত বেকার ও নিরীহ যুবকদের চাকরি দেওয়ার নাম করে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে প্রতারক চক্রটি নিরীহ ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এই প্রতারক চক্রের মুল হোতা মামুন হোসেন বিল্লাল (৩৬)। তার তত্ত্বাবধানে ওই ৩টি ভুয়া প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতো। মামুন ছাড়াও পলাতক আরও ৪/৫ জন এই প্রতারণার কাজে জড়িত। তবে পলাতকদের গ্রেফতারের জোড় প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
