তরমুজের নতুন ২ জাত উদ্ভাবন— বীজ উৎপাদন হবে দেশেই
২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:২০
গাজীপুর: দেশেই বীজ উৎপাদন সম্ভব— তরমুজের এমন দু’টি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা। বারির সবজি বিভাগ এবং পটুয়াখালীর লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এ দু’টি জাত উদ্ভাবন করা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বিশুদ্ধ লাইন থেকে উদ্ভাবিত এ দু’টি ওপি (ওপেন পলিনেটেড) জাতের একটির ভেতরে (মাংসল অংশ) হলুদ এবং অন্যটির টকটকে লাল। শিগগিরই এ দু’টি জাত নিবন্ধনের মাধ্যমে উন্মুক্ত করা হবে বলে জানান তারা।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ দু’টি জাতের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম।
জাত উদ্ভাবনের সাথে সংশ্লিষ্ট বারির বিজ্ঞানীরা জানান, আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে যেসব উন্নতমানের তরমুজ পাওয়া যায় তার প্রায় সবই জাপান বা অন্যান্য দেশ যেমন- চীন, থাইল্যান্ড, ভারত থেকে আমদানিকৃত শংকর জাতের বীজ থেকে উৎপাদন করা হয়। ফলে তরমুজের বীজ আমদানি বাবদ প্রতিবছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। এছাড়া এসব জাতের বীজের বিশুদ্ধতা ও অঙ্কুরোদ্গম হার সব সময় ঠিক না থাকায় কৃষকরা প্রতারিত হয়ে থাকেন।
তারা আরও জানান, কিন্তু বারি উদ্ভাবিত জাত দু’টি থেকে কৃষক নিজেই বীজ উৎপাদন করতে পারবে। এগুলোর ফলন, আকৃতি, স্বাদ ও মিষ্টতা প্রচলিত জাপানি শংকর জাতের চেয়ে উন্নততর। এছাড়া এ জাত দু’টি বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী অমৌসুমি জাত হওয়ায় কৃষক এখান থেকে অধিক লাভবান হবে। হাইব্রিড জাত হিসেবে উন্মুক্ত হওয়ার পর ব্যাপক সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে বীজ আমদানি বাবদ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। এছাড়া তরমুজ উৎপাদনে দেশে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বারির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, সবজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসি ইসলাম, জাত উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা।