বিদ্যুৎ-জ্বালানির উন্নয়নে আসছে ১৩ কৌশল
২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:০৪
ঢাকা: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে আসছে ১৩ কৌশল। এসব কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালে গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুতের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২১ হাজার ৩৬৯ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে। এছাড়া ২০৩০ সালে এ ক্ষমতা ৩৩ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালে ৫৬ হাজার ৭৩৪ মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে স্বল্প ব্যায়ে জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির ব্যবহার বহুমুখী করা হবে। বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় (২০২১-৪১) এসব কৌশল নির্ধারণ করেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ। এটি ইতোমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।
পরিকল্পনাটি তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রক্ষেপণ অনুযায়ী মোট দেশজ আয় প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপিত বার্ষিক ৯ শতাংশ হওয়ায় ২০২১-২০৪১ মেয়াদে বিদ্যুতের চাহিদা ৯ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বাড়বে। ফলে প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কৌশলের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে নতুন চাহিদা পূরণ করা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদার ক্ষেত্রে এই বিশাল ও দীর্ঘ মেয়াদী ব্যাপ্তি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ। যার উদ্দেশ্য হবে উচ্চ ব্যয়সাধ্য তরল জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট পর্যায়ক্রমে গুটিয়ে নেওয়া। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনর জন্য যথাসম্ভব স্বল্প ব্যয়ে প্রাথমিক জ্বালানির পরিমিত ব্যবস্থাপনার দিকে এগিয়ে যাওয়া। এছাড়া কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া। এসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে কৌশল ও নীতিগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১-এর জন্য গৃহীত উদ্দেশ্যাবলী ও লক্ষ্যমাত্র বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে একটি উচ্চ-আয় অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত ধারায় প্রতিস্থাপন করবে।’
প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দীর্ঘ মেয়াদে যেসব নীতি ও কৌশল নেওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে—
বিদ্যুৎ উৎপাদন বিস্তারে স্বল্পব্যয়ী পন্থা অবলম্বন
প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, একটি বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা (পিএসএমপি) প্রণয়ন কাজের সঙ্গে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ হয়েছে। বিপিডিপি, প্রথম মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও গ্রহণ করা হয় ১৯৮৫ সালে এবং হালনাগাদ করা হয ১৯৯৫, ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৬ সালে। পিএসএমপি একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও প্রাথমিক জ্বালানি সংশ্লিষ্ট মিশ্রণের জন্য কৌশলসহ বেসরকারি খাতের ভূমিকা, বিদ্যুৎ বাণিজ্য, বিদ্যুৎ ব্যবহারের দক্ষতা ও মূল্যনির্ধারণ কৌশল সন্নিবেশিত হয়। পিএসএমপি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হলেও তা পূর্ববর্তী ৫ বছর বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। যখন ২০১০ এ পিএসএমপিতে গৃহীত হয়, তখন উচ্চ-ব্যয়সাধ্য রেন্টাল বিদ্যুতের ওপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীলতা ছিল। ২০০৯ এবং ২০১০ সালে স্বল্পমেয়াদী জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য, গ্যাস সংকটের কারণে ব্যয়বহুল তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। পিএসএমপি ২০১০ অনুযায়ী ২০৩১ সালের মধ্যে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ৫০ শতাংশ কয়লানির্ভর, ২৫ শতাংশ গ্যাস এবং ২৫ শতাংশ অন্যান্য উৎস্য থেকে। এরপর ২০১৬ পিএসএমপিতে বৃহদায়তনিক ও স্বল্পব্যয়ী জ্বালানি বিকল্প গ্রহণসহ পর্যায়ক্রমে রেন্টাল বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট কমিয়ে এনে স্বল্পব্যয় সম্পন্ন বিদ্যুৎ বিস্তারের দিকে সরে আসার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। পিএসএমপি ২০১৬-এর ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এর বিদ্যুৎ বিস্তার কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে পাঁচ বছর পর এই কৌশল হালনাগাদ করা হবে।
স্বল্প ব্যয়ভিত্তিক প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি
এক্ষেত্রে পরিকল্পনাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বল্পব্যয় সম্পন্ন বিদ্যূৎ বিস্তারের পন্থা অবলম্বনের জন্য প্রয়োজন স্বল্প ব্যয়ভিত্তিক জ্বালানি বিকল্প গ্রহণ। জলবিদ্যুৎ, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও পরমাণু এগুলোর প্রতিটিই স্বল্পব্যয় বিদ্যুৎ বিস্তারের অংশ। তরল জ্বালানি, ব্যয়বহুল জ্বালানি এবং স্বল্প ব্যয়ভিত্তিক জ্বালানি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে এগুলোর ব্যবহার ও ক্রমাগত হ্রাস পাবে। তবে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ভালো। বিদ্যমান পরিচিত কয়েকটি গ্যাস-উৎসের মজুদের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে এটি এতদিন ভালো সেবা দিয়েছে। যদিও সেগুলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য উন্নততর মূল্য নির্ধারণ ও চাহিদা ব্যবস্থাপনাসহ নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রচেষ্টা নেওয়া হবে। এছাড়া আরও বলা হয়েছে, এলএনজি ও তরল জ্বালানির মতোই কয়লাও আমাদের সামনে স্বল্পব্যয়ভিত্তিক বিদ্যুৎ বিস্তারের পথ মেলে ধরে এবং এটি বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনার একটি কেন্দ্রীয় উপাদান। এক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হলো- পরিবেশের ওপর এর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে লাগসই প্রযুক্তি ও পরিবীক্ষণের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী রক্ষা কবচ গড়ে তোলা। পারমাণবিক বিদ্যুৎ দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ সরবরাহে বৃহত্তর ভুমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকে দ্রুতগামী প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ বিকল্প তৈরির ক্ষেত্রে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এর আওতায় নিরাপত্তামানের আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য মাত্রা নিশ্চিত করতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা সতর্কতার সাথে পর্যালোচনা করা হবে। তবে আগামীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। সৌর বিদ্যুতের পাশাপাশি বাতাস, স্রোত এবং বর্জ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সুযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
প্রাথমিক জ্বালানির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন
এলএনজি ও আমদানিকৃত কয়লা দুটোই অত্যন্ত সাংঘাতিকভাবে অবকাঠামো নির্ভর জ্বালানি বিকল্প। আমদানিকৃত এই জ্বালানিগুলোকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে সংযুক্ত করতে বন্দরে, স্টোরেজ সুবিধায়, রেল ও সড়ক অবকাঠামোতে প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়। সঠিক সমন্বয়ের অভাবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিনিয়োগ সুফল দিতে ব্যর্থ হবে। এ ব্যাপারে গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা সহায়তা করবে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১এ এই অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষাকে অঙ্গীভূত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এর আওতায় দেশজ তৈল পরিশোধন সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানো হবে এবং চাহিদাস্থলে দ্রুত ও সহজে তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে সমগ্র দেশে পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন স্থাপনে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সেইসঙ্গে পরিবেশ সুরক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎপাদন সঞ্চালন ও বিতরণের মধ্য সুষম বিনিয়োগ
বাংলাদেশের সকল অংশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুফল বিতরণ অর্থবহ করতে এবং শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের স্বার্থেই অবশ্যই সঞ্চালন ও বিতরণে উপযুক্ত বিনিয়োগের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ হতে হবে। এ ব্যাপারে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১-এ সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে; যাতে ধীর উৎপাদন সক্ষমতার দিক থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না করতে পারে এবং জেলা পর্যায়ের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভ্রাটের অবসান ঘটে। এছাড়া পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি অধিক শক্তিশালী করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
স্থাপিত সক্ষমতার দক্ষ ব্যবহার বিস্তার
প্রেক্ষিত পরিকল্পনার বিষয়ে বলা হয়েছে, বহুবিধ কারণেই যেকোনো বছরে উৎপাদিত সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চেয়ে প্রকৃত স্থাপিত বিদ্যুতের সক্ষমতা বেশি। যদিও সংশ্লিষ্ট সেবা দক্ষতার সঙ্গে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সক্ষমতা প্রায় ২০ শতাংশ হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে এটি ৩৩ শতাংশ। স্থাপিত সক্ষমতা ও যেকোনো বছর সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতার মধ্যে এই ধরনের ব্যবধানের কারণ প্রাথমিক জ্বালানি, বিশেষ করে গ্যাসের প্রাপ্যতার ঘাটতি, সংরক্ষণ সময়সূচি সমন্বয়ে জটিলতা ও পরিচালনা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১-এ এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য উন্নত ব্যবস্থাপনা, সুষ্ঠু সংরক্ষণ পদ্ধতি ও প্রাথমিক জ্বালানির সময় মতো প্রাপ্যতার দিক থেকে পরিচালনা পদ্ধতির উন্নয়ন করা হবে। এটি বিদ্যুতের গড় মূল্য এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিনিয়োগ ব্যয় কমিয়ে আনতে সহায়ক হবে।
জ্বালানিখাতে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ
বিদ্যুৎখাত মহাপরিকল্পনার মূল উপাদান হলো- বিদ্যুৎ উৎপাদনের বেসরকারি খাতের ভুমিকা উৎসাহিত করা। এ ব্যাপারে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১-এ এই ধারাকে এগিয়ে নিতে বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভূমিকাকে অধিকতর উদ্দীপ্ত করবে। বাংলাদেশ যেহেতু বিদ্যুৎ বিস্তার কর্মসূচিতে রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে সরে আসছে, তাই বৃহদাকারে ও জ্বালানি দক্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ভিত্তিতে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনের দক্ষতা বাড়বে। এটিই হবে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন কৌশলের প্রধান উদ্দেশ্য। বর্তমানে, বিতরণ ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের একচ্ছত্র অধিকার। বাংলাদেশ যখন আরও উন্নত হয়ে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে তখন দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা বিকাশে বিদ্যুতের বেসরকারি বিতরণের জন্য বিকল্প অনুসন্ধানই যুক্তিযুক্ত হবে। এ ব্যাপারে অধিকতর স্বয়ত্তশাসনসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেবার দাম নির্ধারণ ও সঠিক নিয়ন্ত্রণ সক্ষম মানসম্পন্ন জনবল গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিইআরসি) ভূমিকা শক্তিশালী করা হবে।
অন্যান্য নীতি ও কৌশল
এছাড়া আরও যেসব কৌশল নেওয়া হবে সেগুলো হচ্ছে- বিদ্যুৎ বাণিজ্যের অধিকতর বিস্তার, সঠিক জ্বালানি মূল্যনীতি নিশ্চিত করা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জন্য একটি কৌশল গঠন করা। এছাড়া বেসরকারি অর্থায়ন, সরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অর্থায়ন এবং বাজেট অর্থায়ন কৌশল হাতে নেওয়া হবে।