ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় দফতরি
১১ মার্চ ২০১৮ ২০:৫৭ | আপডেট: ৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৫৩
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর দফতরি স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছে- এমন অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দফতরি আপন চন্দ্র মালীকে (৫০) আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
রোববার (১১ মার্চ) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে মুমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সারাবাংলাকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি দফতরি শিশুটিকে ধর্ষণ করে, অজ্ঞান হয়ে গেলে মেয়েটিকে ফেলে দেয় সেপটিক ট্যাংকে। আপন চন্দ্র মালী আমাদের হেফাজতে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নয় বছর বয়সী ওই ছাত্রীর ভাই কাটিরহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। পাশেই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিশুটি ভাইয়ের কাছে গিয়েছিল। এ সময় দফতরি তাকে স্কুলের দোতলায় নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পরও মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া না গেলে পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয়রা আপন চন্দ্র মালীর কাছে জানতে চায়। দফতরি অসংলগ্ন উত্তর দিলে তাদের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে গোঙানির আওয়াজ পাওয়া গেলে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
ছাত্রীটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার সারাবাংলাকে বলেন, শিশুটি হাসপাতালের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, যারা শিশুটিকে হাসপাতালে এনেছেন তারা জানিয়েছেন, শিশুটিকে ধর্ষণের পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
সারাবাংলা/আরডি/এটি