ডিআইজি প্রিজন বজলুর জামিন নাকচ, চার্জ শুনানি ২২ অক্টোবর
২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৩৩
ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদফতরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে বজলুর রশীদের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। একইসঙ্গে চার্জগঠন শুনানির জন্য আগামী ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত। এছাড়াও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদফতরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও দুইটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে মামলাটি চার্জশুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা চার্জশুনানির জন্য প্রস্তুত নন জানিয়ে সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে চার্জশিটটি জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন।
চার্জশিট থেকে জানা যায়, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধিশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। ইতোমধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্যবাবদ ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এমনকী তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর দুদকের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে স্ত্রীকে পাঠানোর অভিযোগের অনুসন্ধানে নামে দুদক। এর অংশ হিসেবে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন। জিজ্ঞাসাবাদে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট থেকে ৩ কোটি ৯ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট কেনার তথ্য পায় দুদক। বজলুর রশীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করে এবং তাকে গ্রেফতার করে।