দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ হলেও অর্থনীতি সচল রাখতে কর্মপরিকল্পনা
২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:২০
ঢাকা: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরু হলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার উপায় বের করে কর্মপরিকল্পনা করতে যাচ্ছে সরকার। সেজন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ আয়োজিত এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ যদি আসে তাহলে তা মোকাবিলায় আমরা টোটাল প্রোগ্রামকে ভাগ করে নিয়েছি। ক্লিনিক্যাল সাইড দেখবেন বিশেষজ্ঞরা। যদি কোভিড-১৯ বিস্তার করে কিভাবে তার চিকিৎসা হবে সে পরিকল্পনা থাকছে।
তিনি বলেন, ‘শীতের সময় যেহেতু অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেশি থাকবে, সেটাকেও দ্রুত সবাইকে সচেতন করে দেওয়া এবং তার জন্য একটি চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রস্তুতিস্বরূপ ব্যাপক সচেতনতা বাড়াতে হবে। সবাই যাতে মাস্ক পরে আর দূরত্ব বজায় রাখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেদিকে মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে।’
তিনি আরও জানান, মাঠ প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, আইন শৃংখলা বাহিনী, সেনাবাহিনী কীভাবে ভূমিকা রাখবে তারও একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রচুর লোকজন বাইরে থেকে আসে তাদের পূবসর্তকতামূলকভাবে ট্রিটমেন্ট করা হবে যাতে বাইরে থেকে ভাইরাস সংক্রমণ করতে না পারে। প্রতিটি এন্ট্রি পয়েন্ট বিমানবন্দরে সেনাবাহিনীর টিম কাজ করবে।
তিনি আরও জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়গুলোকে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে বলা হয়েছে। আমরা চাই দ্বিতীয় দফায় যদি সংক্রমণ শুরু হয় তখন অর্থনীতির গতিধারা যাতে সচল থাকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া তথ্য অধিদফতর, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সকল মসজিদ ব্যবহার করে কোভিড-১৯ নিয়ে মানুষকে আরও সচেতন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ধাক্কা এলে ফের লকডাউনের পরিকল্পনা আছে কিনা সে প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।