২ কিলোমিটার ছাড়িয়েছে পদ্মাসেতুর সড়কপথ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:০৫
ঢাকা: ছয় কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ পদ্মাসেতুর দুই কিলোমিটার সড়কপথ নির্মাণ শেষ হয়েছে। এই সড়ক শরিয়তপুরের জাজিরা থেকে পদ্মাসেতুর স্প্যানের ওপর দিয়ে নদী পেরিয়ে এখন মুন্সিগঞ্জের দিকে আসছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি এটি মাওয়া প্রান্তে পৌঁছে যাবে। এর আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে পদ্মাসেতুর সব স্প্যান বসানো। তখন পুরো সেতু একসঙ্গে দৃশ্যমান হবে। পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকা ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।
সেতুর জাজিরা অংশে প্রায় ১০ তলা উঁচুতে উঠে সড়কপথে এখন দুই কিলোমিটার যাওয়া যায়। নির্মাণ কাজের প্রয়োজনে সেখানে বড় ট্রাক ও তিনচাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চলতে দেখা গেছে। রোডস্লাব তুলে সেতুর উপর দিয়ে চলছে ট্রাক। আর প্রকৌশলীরা দুই কিলোমিটারের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে চলাফেরা করছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর এই সড়কপথ দুই কিলোমিটার ছাড়িয়েছে। ২ মিটার দৈর্ঘের একেকটি রোডস্লাব ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মাসেতুর সড়কপথ গড়ে তুলছে। সেতু নির্মাণে প্রায়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডস্লাব। এর মধ্যে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বসানো হয়েছে ৯৮৫টি। চলতি মাসে রোডস্লাব বসানোর সংখ্যা হাজার ছাড়াবে বলে প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে। এদিকে পদ্মাসেতুর স্প্যানের নিচে রেলপথে জন্য লাগবে ২ হাজার ৯৫৯টি স্লাব। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৫৭০টি।
পদ্মাসেতু প্রকল্প সূত্র আরও জানায়, রোডস্লাব শুরুর দিকে যেভাবে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাটি করে বসানো শুরু হয়েছিল সেই গতি এখন নেই। এখন কখনও দিনে একটি কখনও দিনে দুটি করে বসানো হচ্ছে। আগামী বছর কাজ শেষ করতে হলে দিনে আটটি করে রোডস্লাব বসাতে হবে ।
পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম সারবাংলাকে জানান, সরকারের পরিকল্পনা আগামী বছর সেতু খুলে দেওয়া। সেজন্য তাদের কাজও এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা এবং বন্যা কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়ালেও সেটা তারা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। চলতি মাসের শেষদিকে ৩২তম স্প্যান বসানো হবে।
সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন জানান, ডিসেম্বরে বাকি ১০টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হলে পদ্মাসেতু দুই পাড়ের মধ্যে সংযোগ ঘটবে। তখন পুরো সেতু দৃশ্যমান হবে। আর উপরে সড়ক ও নিচে রেলপথের কাজ চলতে থাকবে। তাদের লক্ষ্য আগামী বছরই সেতু চালু করা।
বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ চলছে। এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। এতে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুনে কাজ শেষ করে ডিসেম্বরে সবার জন্য সেতু চালুর লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।