পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি: গাইবান্ধায় ৪০ পরিবার ঝুঁকিতে
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:১৫
গোবিন্দগঞ্জ: অবৈধভাবে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ঘোড়ামারা গ্রামের ৪০ টি পরিবার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। ইতোমধ্যে ৫টি বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। এ ছাড়া পাড় ভেঙ্গে গোয়ালঘরে বেঁধে রাখা ৭টি গরু পানিতে ডুবে মারা যায়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ১০ নং ঘোড়ামারা গ্রামের একটি পুকুরের চারপাশে ৫২ বছর ধরে ভূমিহীন ও নদী ভাঙনের শিকার ৪০ টি পরিবার বসবাস করে আসছিল। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিক তার লোকজন দিয়ে পুকুর থেকে ভেকু মেশিনের সাহায্যে অপরিকল্পিতভাবে প্রায় ২০ ফুট গভীর করে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করে। এতে করে পুকুর পাড়ের বাড়িঘর ভেঙ্গে যেতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে বাদশা মিয়ার একটি গোয়াল ঘর ভেঙ্গে পড়ায় তার ৭টি গরু ডুবে মারা যায়। যার মূল্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। বাদশা মিয়ার অভিযোগ, সরকারী নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানালেও প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। প্রশাসনকে অবহিত করায় চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে পুকুর পারে বসবাসকারীদের নানাভাবে হয়রানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।
এ ব্যাপারে কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিক জানান, এই এলাকার মাটি সামান্য বৃষ্টিতেই ভেঙ্গে যায়। তাই গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের কারণে গোয়াল ঘরটি পুকুরে ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি জানান, পুকুর খননে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, মামলায় জিতলেও পুকুর এখনও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বুঝে পায়নি। নিয়ম অনুযায়ী যারা প্রতিবেশি এবং পুকুর পাড়ে বসবাস করছে তারাই এই পুকুরের যাবতীয় সুবিধা ভোগ করার কথা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মণ বলেন, পুকুরে গোয়ালঘর ভেঙ্গে পরে ৭ টি গরু মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। পুকুর থেকে মাটি উত্তোলন করাসহ যাবতীয় বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।