ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ: বিবিসির সাংবাদিকদের সাক্ষ্যগ্রহণ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:১৫
ঢাকা: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনার দায়ের করা মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে বিবিসি ওয়ার্ল্ডের সাংবাদিক পারমিতা পাল (৩৫) সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭’র বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহারেরর আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। এরপর আসামি পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি তাকে জেরা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার জানান, বিবিসি ওয়ার্ল্ডের বাংলা বিভাগের ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট পারমিতা পাল সাক্ষ্য দিয়েছেন। ওই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার পর পারমিতা পালকে ফোন দেন। তিনি পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিমানবন্দর থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যান এবং পরবর্তী দুই-তিনদিন তার পাশে ছিলেন।
এদিন সাক্ষ্যগ্রহণকালে মজনুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলাটিতে এ নিয়ে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক আসামি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। গত ১৬ মার্চ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় চার্জশিট জমা দেন।
মামলাটি গত ৬ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন দুপুরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা করেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে থামে। বাস থেকে নেমে ওই শিক্ষার্থী ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় সুযোগ বুঝে তাকে জাপটে ধরে এক ধর্ষক। এরপর ফুটপাতের পাশের ঝোঁপে নিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করা হয়।
আসামি ভিকটিমের কাছ থেকে একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন, একটি হাতঘড়ি ও নগদ দুই হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার রাতেই ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মজনু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি এই মজনু বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।