বাড়তি চালের বাজার, ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৩৮
ঢাকা: বাজারে চালের দাম আরও বেড়েছে। কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। ফলে প্রতি বস্তায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে খুচরা ও পাইকারি— দুই বাজারেই কমেছে পেঁয়াজের দাম। তাতেও অবশ্য স্বস্তি নেই। কারণ সবজির বাজার এখনো আগের মতোই চড়া। নতুন করে বেড়েছে শশার দাম। মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির দাম স্থির রয়েছে। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর ) কারওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বিক্রেতা গৌতম বাবু সারাবাংলাকে বলেন, পাইকারি বাজারে পেয়াজের দাম আরও কিছুটা কমেছে। কেজিতে অন্তত পাঁচ টাকা কমেছে।
এদিকে, মহাখালীর বউবাজারে দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কারওয়ানবাজারের খুচরা দোকানগুলোতেও একই দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
সবজির মধ্যে কারওয়ানবাজারে বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা ও গাজর ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারের বিক্রেতা রবিন সারাবাংলাকে বলেন, সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে। নতুন করে দাম বাড়েওনি, কমেওনি।
আর মহাখালীর বউবাজারে সবজির মধ্যে পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, সিম ১৬০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা ও টমেটো ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এই বাজারে শশা ১২০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা হালিতে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, রসুন ৯০ থেকে ১২০ টাকা ও আদা ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এই বাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম সারাবাংলাকে বলেন, গেল কয়েক সপ্তাহ ধরেই সবজির আগের মতোই রয়েছে।
এদিকে, বাজারে আরও দাম বেড়েছে চালের। কেজিতে চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে বলে বিক্রেতাদের দাবি। আর বস্তায় চালের দাম বেড়েছে দেড়শ থেকে দুইশ টাকা। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, আটাশ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি বাজারে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চালের দাম পড়ছে ২৭৫০ থেকে ২৮০০ টাকা, আটাশ ২৪০০ টাকা ও নাজিরশাইল ২৩০০ থেকে থেকে ৩০০০ টাকা।
বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক গাফফার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, কেজিতে সব ধরনের চালের দাম অন্তত দুই টাকা বেড়েছে। মহাখালীর বউবাজারের দোকানি শরিফ মিয়া বলেন, কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। কারওয়ানবাজারের হাজী ইসমাইল অ্যান্ড সন্সের মালিক জসিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। চালের দাম বস্তায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে। চাল আমদানি না করলে আর দাম কমবে না।
এদিকে, কারওয়ানবাজারে গরু ৬০০ ও খাশি ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ২২০ টাকা, সাদা কর্ক ২০০ ও দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মুরগির দাম গেল সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে।