Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আট বছরেও এমপি জালাল উদ্দিনের ‘মৃত্যুরহস্য’ উদঘাটিত হয়নি


২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৫৯

নেত্রকোনা: সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদারের মৃত্যুর আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও উন্মোচিত হয়নি সেই মৃত্যুর কারণ। ২০১২ সালের এই দিনে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বাগিচাপাড়ার নিজ বাসায় মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছিল তার। এই মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও শুরু থেকেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি সন্তানদের। হত্যার এ তদন্তভার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থার হাত ঘুরে বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশে জুডিশিয়াল তদন্তে রয়েছে।

নিহতের ছেলে শাহ্ কুতুব তালুকদার রুয়েল তালুকদার বলেন, ‘আমার বাবা সারা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন। তিনি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, সুখে দুখে সবসময় পাশে ছিলেন। কিন্তু সন্ত্রাসীদের গুলিতে আজকের এ দিনেই আমার বাবা মৃত্যু হয়েছিলো। আজ আট বছর অতিবাহিত হলো। এখনও হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনের বিভিন্ন বাহিনী কাজ করছে।’

‘তারপরও আমি এ মামলার তদন্তের জন্য হাইকোর্টের কাছে জুডিশিয়াল তদন্তের আবেদন করেছিলাম। হাইকোর্ট আমার আবেদন মঞ্জুর করে। আমরা আশা করি শিগগিরই দোষীদের আইনের কাঠগড়ায় আনলে এলাকার মানুষ তাদের দেখতে পাবে। সঙ্গে আমার বাবার আদর্শ ধরে যেন আমি সবসময় মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করতে চাই এ দোয়াই চাই’, বলেন শাহ্ কুতুব তালুকদার।

উপজেলা চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা তালুকদার বলেন, ‘আমার বাবা কোনোদিন মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি। সবসময় মানুষকে খুশি রাখার চেষ্টা করেছেন। আমার বাবা জালাল উদ্দিন তালুকদার এই এলাকার তিন বারের এমপি ছিলেন। তিনি মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য এককভাবে কাজ করার চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তার এ মৃত্যু আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না। তার এ শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। আমি তার সন্তান হিসেবে ও এ এলাকার মানুষ তার মৃত্যুর কারণ জানতে চাই। কেন তাকে এভাবে হত্যা করা হলো তার কারণ মানুষের কাছে জানতে চাই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আশা করি যত দ্রুত খুনিরা আইনের আওতায় আসবে। সেই সঙ্গে আমার বাবার শেষ ইচ্ছাটুকু পুরণে আমি সর্বোত্তম কাজ করে যাচ্ছি ‘

জানা যায়, ১৯৫১ সালে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গুজিরকোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জালাল উদ্দিন তালুকদার। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ ত্যাগী নেতা। দেশ স্বাধীনের আগে থেকেই ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভোরে তার নিজ ঘরেই সন্ত্রাসীদের হামলায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয় তাকে। মৃত্যুর পর নিজ বাড়ির আঙিনায়ই সহধর্মিনী জহুরার বেগমের কবরের পাশেই সমাহিত করা হয় তাকে।

এদিকে, শুক্রবার দুর্গাপুরে জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে তার দুই সন্তান শাহ্ কুতুব তালুকদার রয়েল ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা তালুকদার। এ বছর সারাদেশে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব থাকায় দিনটিকে ঘিরে তেমন কোনো আয়োজন নেই কারো। তবে বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনায় জুমাবার ও উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেছেন তার সন্তানরা।

আট বছর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদার সংসদ সদস্য


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর