কিশোরী নীলা রায় হত্যা: প্রধান আসামি মিজান গ্রেফতার
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:০৬
ঢাকা: দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীলা রায়কে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি মিজানুর রহমান চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকুও উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় কর্নেল ব্রিক ফিল্ডের পাশে পারভেজে নামে এক ব্যক্তির বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে সাভার মডেল থানা পুলিশ ও ঢাকা জেলা ডিবি উত্তর একই সাথে অভিযান চালায়। এর আগে দিনভর বিভিন্ন জায়গায় মিজানুরকে ধরতে অভিযান চালানো হয়। এই মামলায় তিন আসামিকেই গ্রেফতার করা হলো। মামলার তদন্তকাজ চলমান রয়েছে।’ ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে মিজানুরের বাবা ও মাকে সাভার ব্যাংক কলোনি থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাদের রিমান্ডে দিয়েছে পুলিশ।
গত ২০ সেপ্টেম্বর কিশোরী নিলা রায়কে ভাইয়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় মিজানুর। এরপর মরদেহ মেলে নীলার। পুলিশ জানায়, নীলাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাগর রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে নীলার বাবা মেয়ে হত্যায় জড়িত সকলের ফাঁসি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের সভাপতি ড. সোনালী দাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘অবিলম্বে নুশরাত হত্যার বিচারের মতো নীলা হত্যাকারীদেরও বিচার করতে হবে।’
নীলার পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে নীলাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান মিজান। আব্দুর রহমান-নাজমুন্নাহার দম্পতির সন্তান মিজান এইচএসসি পরীক্ষার্থী। নীলা তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণেই তিনি হত্যা করেছেন নীলাকে।
এ ঘটনায় নীলার বাবা নারায়ণ রায় সোমবার রাতে মিজান, তার বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:
সাভারে কিশোরী নীলা রায় হত্যা: মিজানের মা-বাবা গ্রেফতার
কিশোরী নীলা রায় হত্যা: দুই দিনের রিমান্ডে মিজানের মা-বাবা
নীলা রায় হত্যা পুলিশ প্রধান আসামি রক্তমাখা চাকু হত্যায় ব্যবহৃত