চট্টগ্রাম বন্দর: ‘জালিয়াতির মাধ্যমে’ কনটেইনার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:১৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জালিয়াতির মাধ্যমে খালাস চেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা কাপড়ভর্তি একটি কনটেইনার আটক করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইয়ার্ড থেকে কনটেইনারটি বাইরে নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হয় বলে জানিয়েছেন বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
বন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কনটেইনারটিতে ফেব্রিক্স ছিল। জিম অ্যান্ড জেসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রিক্সগুলো আমদানি করেছে। কনটেইনারটি ডেলিভারি নেওয়ার জন্য দ্রুত ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে চট্টগ্রামের একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান শুল্কায়ন সম্পন্ন করে। ডেলিভারির জন্য নথিও জমা দেওয়া হয় বন্দরের সংশ্লিষ্ট শাখায়। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে খান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানটি কনটেইনারটি ডেলিভারি নেওয়ার জন্য নথি জমা দেয়। কিন্তু নথি দেখে বন্দরের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তারা সেটি আটকে দেয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুল্কায়নের রেকর্ড জমা দিয়েছে দ্রুত ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু খান এন্টারপ্রাইজ কনটেইনারটি ডেলিভারি নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। তখন আমাদের কর্মকর্তারা সেটি চ্যালেঞ্জ করে আটকে দেয়। আমাদের ধারণা, এখানে বড় ধরনের জালিয়াতির চেষ্টা হয়েছে। বন্দরের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তারা আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানগুলোকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এরপর একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত ওই কনটেইনার ডেলিভারি বন্ধ থাকবে।’