Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৯ মার্চ রাজধানীতে সমাবেশ করবে বিএনপি


১২ মার্চ ২০১৮ ১১:৪৪

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : আগামী ১৯ মার্চ সোমবার রাজধানীা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুনরায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম, ২৪ মার্চ বরিশাল ও ৩১ মার্চ রাজশাহীতে বিএনপি মহাসমাবেশ। আওয়ামী লীগ সরকার যদি গণতন্ত্র ও আইনের শাসন বিশ্বাস করে তবে তারা বিএনপিকে মহাসমাবেশ করতে অনুমতি দেবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আমাদেরকে জনসভা করার অনুমতি দেবেন। আগামী ১৯ মার্চ সোমবার বিএনপির উদ্যোগে আবার জনসভার ঘোষণা করছি। এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেব। আশা করছি সরকারের বোধোদয় হবে। সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি গণতন্ত্রকে নুন্যতম শ্রদ্ধা করেন তাহলে বিএনপিকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘এই বছর নির্বাচনের বছর। সরকারের দায়িত্ব এই বছর সব রাজনৈতিক দলগুলো যাতে নির্বাচন করতে পারে তার ব্যবস্থা করা।’

বিএনপি‘র মহাসচিব বলেন, ‘রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ আমরা জনসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ছিলাম। সব নিয়ম কানুন অনুসরণ করে আমরা মহাসমাবেশের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের তা করতে দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকবার আমাদের সমাবেশ করতে একেবারে শেষ মুর্হুতে অনুমতি দেওয়া হয়। আমরা এবারও আশা করেছিলাম শেষ মুহূর্তে অনুমতি দেবে। কিন্তু তাও দেওয়া হয়নি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে সাংবাদিক বন্ধুদের ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে আমরা অনুমতি দিতে পারছি না। অথচ এই মার্চ মাসে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ সমাবেশ করেছে, সামনে জাতীয় পার্টিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। রাশেদ খান মেনন এর ওয়াকার্স পার্টি এবং চরমোনাইপীর সমাবেশ করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ, পল্টন ময়দান এবং মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার স্থানগুলো আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজ বুদ্ধিজীবীরা লিখতে ভয় পান। কথা বলতে ভয় পান। এটাই আজ বাস্তবতা। সরকারের সমালোচনা করে লিখলে বুদ্ধিজীবীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হবে। গুম করা হবে। টেলিফোনে বলা হয়, আপনার মেয়ে স্কুলে যায় না?  এই কারণে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। বাংলাদেশে আজ এই সাহসেরই অভাব, এটাই সরকারের সফলতা। তারা ফ্যাসিস্ট সরকার। তারা সারা বাংলাদেশে একদলীয় শাসন কায়েম করছে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘একমাস হয়ে গেল আমাদের দেশনেত্রী কারাগারে রয়েছেন। জামিনযোগ্য মামলায় তার জামিন হচ্ছে না। সমস্ত আইনজীবিরা বলছেন এই মামলায় জামিন না দেওয়ার কোনো কারণ নেই। নথি তলব করাটাও অস্বাভাবিক। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি করি বলেই, আইনি প্রক্রিয়ায় গেছি। আমাদের প্রত্যাশা করছি, দেশনেত্রী জামিন পাবেন এবং আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিকভাবে সভাসমাবেশ করতে চাই। এগুলো কোনো বেআইনি কর্মসূচি নয়। অবাক লাগে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কথা শুনে। তারা বলেন, বেআইনী কর্মসূচি হলে তো পুলিশ বাধা দিবেই। কোনটা আইনি আর কোনটি বেআইনি তা নির্ধারণ করতে হবে। আওয়ামী লীগ পুরো রাস্তাঘাট দখল করে আন্দোলন করবে সেটা আইনি। আর বিরোধী দল সোহরাওয়াদী মাঠের ভেতর জনসভা করবে সেটা বেআইনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিএম/একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর