মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ২০ হাজার টাকা করার সুপারিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:১৩
ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি আট হাজার টাকা বাড়িয়ে মোট বিশ হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এছাড়া বিজয় দিবসের আগেই রাজাকারদের আংশিক তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ সরকার। এজন্য কাজ শুরু করেছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উপকমিটি।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান উপ-কমিটির আহবায়ক শাজাহান খান। তিনি জানান, পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠক কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী পর্যালোচনাপূর্বক অপ্রতুল বলে মনে করেন কমিটি। তারা যেন আরেকটু স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি আট হাজার টাকা বাড়িয়ে মোট বিশ হাজার টাকা করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া সকল প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহার সংক্রান্ত সচিব কর্তৃক সই করা একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ মুক্তিযোদ্ধাদের যোগাযোগ রয়েছে এমন সব প্রতিষ্ঠানে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কিছু কার্যক্রমের বিপক্ষে সংসদীয় কমিটির কাছে বেশকিছু লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে কমিটির সভাপতি শাজাহান খানকে আহবায়ক এবং কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয় মুক্তিযুদ্ধের নামে কিছু ভুইফোঁড় প্রতিষ্ঠান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় সংসদীয় কমিটির সুপারিশ মোতাবেক জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বিধায় সূর্য সন্তানদের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রাখতে নিজ নিজ এলাকার সড়কের নামগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বৈঠকে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনিয়ম তদন্ত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানায়, খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদ্য সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গণি কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করেন। আবেদেনে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি মো. ইফতেখারুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
২০ হাজার টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ