Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টালে ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক বাধ্যতামূলক


২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৪২

ঢাকা: ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক বাধ্যতামূলক করে ‘বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ আইন-২০২০’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বেসিরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের একাডেমিক অনুমোদন, নবায়ন, শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষার্থী সংখ্যা, তাদের সুবিধা ও শিক্ষকের কী যোগ্যতা থাকবে, কলেজগুলো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে, অর্থ ব্যবস্থাপনা কেমন হবে— এই বিষয়গুলো আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৭০টি ও ডেন্টাল কলেজের সংখ্যা ২৬টি। আর সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৬টি ও সরকারি ডেন্টাল কলেজ একটি। যে বিভাগের যে মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজ রয়েছে সেগুলো ওই বিভাগের মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এবং যে বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেখানে সার্কুলার দিয়ে বলে দেওয়া হবে কার অধীনে থাকবে।’

তিনি জানান, এতদিন বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ দুটি নীতিমালার মাধ্যমে চলতো। এখন দেখা যাচ্ছে যে, শুধু নীতিমালা দিয়ে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য সুনির্দিষ্ট আইন প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আইনের খসড়া নিয়ে আসা হয়েছে। মেডিকেল কলেজে প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক এবং ন্যূনতম শিক্ষার্থী থাকতে হবে ৫০ জন। এছাড়া প্রত্যেক বিষয়ে ন্যূনতম পাঁচজন করে শিক্ষক থাকতে হবে।

নীতিমালায় অনেক কিছু পরিষ্কার না থাকায় অনেক মেডিকেল কলেজ অস্থায়ী শিক্ষক দিয়ে চলে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২৫ শতাংশের বেশি খণ্ডকালীন শিক্ষক রাখা যাবে না, ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক থাকতে হবে। ডেন্টাল কলেজের জন্য দুই কোটি এবং মেডিকেল কলেজের জন্য তিন কোটি টাকা রিজার্ভ ফান্ড রাখার বিধান রয়েছে। এছাড়া মেডিকেল কলেজে ২৫০ শয্যা এবং ডেন্টালের ৫০ শয্যার মধ্যে ১০ শতাংশ গরিব মানুষের জন্য বিনা পয়সায় চিকিৎসার জন্য রাখতে হবে।’

আইনে বর্জ্য ব্যস্থাপনার বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মেডিকেল বর্জ্যগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো নরমাল ডাম্পিংয়ে রাখলে হবে না। এখান থেকে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বা রোগ-জীবাণু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।’ মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের জন্য অবশ্যই নিষ্কণ্ঠক জমি থাকতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মেট্রোপলিটনে কমপক্ষে দুই একর এবং মেট্রোপলিটনের বাইরে চার একর জমি থাকতে হবে।’

আইন লঙ্ঘন করলে দণ্ডের কথা উল্লেখ রয়েছে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘দুই বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। আইনের শর্ত না মানলে মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হবে।’

এখন ভাড়া বাসায় যে মেডিকেল কলেজ রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে কী হবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনে বিস্তারিত থাকে না। এজন্য বিধিমালা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিধিমালা বা নীতিমালায় স্পষ্ট করে দেওয়া হবে।’

৭৫ শতাংশ টপ নিউজ ডেন্টাল কলেজ মেডিকেল স্থায়ী শিক্ষক বাধ্যতামূলক


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর