‘ডিসি-এসপি বলেছে পাবনা উপনির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে’
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:৫৬
ঢাকা: পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলেন, কাগজপত্রে এসেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ডিসি, এসপি ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব সকথা বলেন।
পাবনা-৪ আসনে ৬৫ শতাংশ ভোটের হার যৌক্তিক মনে করেন কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আমি তো সেখানে ছিলাম না। কাগজপত্রে এসেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কাগজপত্রে এসেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ডিসি, এসপি ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমাদের কাছে কাগজ এসেছে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে, সেটাই আমি বিশ্বাস করি।’
পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে বাচ্চাদের ভোট কেন্দ্রের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে- এ প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘লাইনে তো যে কেউ দাঁড়াতে পারে। ভোটার ছাড়াও লাইনে দাঁড়াতে পারে। কারণ, তখন তো আর আইডি কার্ড দেখে চেক করা হয় না। আবার অনেককে দেখলে বোঝা যায় না যে, তার বয়স ১৮ হয়েছে। যখন ভোট দিতে যাবেন, তখন আপনাকে পরিচয় দিতে হবে, ভোটার কার্ড দেখাতে হবে। তখন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা যদি সন্তুষ্ট হন যে, উনি ভোটার, তখনই তাকে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়, তার আগে নয়। লাইনে তো যে কেউ দাঁড়াতে পারে। তবে কেউ প্রমাণসহ আমাদের কাছে দিলে আমরা সেটা তদন্ত করব। এর জন্য যদি কেউ দায়ী থেকে থাকে, আইনে যা বলা আছে, সেই শাস্তি দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আইনে বলা আছে, দায়িত্ব পালনে যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তা অবহেলা করে তাহলে তার সাত বছরের জেল হতে পারে। আর কোনো সাধারণ জনগণ অপরাধ করলে তাকে এক বছর পর্যন্ত জেল দেওয়া যায়।’
আইনে বলা আছে, ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজের ভেতরে বহিরাগত কেউ থাকতে পারবে না। তাহলে ভোটার নয় এমন লোকজনস কিভাবে লাইনে দাঁড়াবে? অথচ আপনি বলছেন, বহিরাগতরা কেন্দ্রে থাকতে পারে। এটা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘বহিরাগত তো ততক্ষণ পর্যন্ত ধরা যাবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা ভোট দিতে ঢুকবে। কারণ, কোনো কেন্দ্র আছে যার বেড়া নাই, গেট নাই, খোলা মাঠ। কে কোন জায়গা দিয়ে ঢুকছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়জনকে বাধা দেবে? এটা তো সম্ভব না।’
তিনি বলেন, ‘বলা আছে, ৪০০ গজের মধ্যে বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু রাস্তার পাশেই তো কেন্দ্র। আপনি কী রাস্তা দিয়ে লোক চলাচল বন্ধ করে দেবেন? আপনিই তো মারতে যাবেন। তাছাড়া আইনের সবকিছু তো ওইভাবে বাস্তবায়ন করা যায় না। লিটারেলি বাস্তবায়ন করা যায় না। এটা বাস্তবতা যে, রাস্তার পাশে স্কুল। সেখানে কেন্দ্র। এখন রাস্তা ৪০০ গজের মধ্যে পড়ে গেছে। এখন কী রাস্তা বন্ধ করে দেব? রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া যায়?’