যত্রতত্র এলপিজি বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা আসছে
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:১৯
ঢাকা: বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) যত্রতত্র বিক্রি বন্ধ করতে চায় সরকার। আর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে শিগগিরই দেশের জেলা প্রশাসকদের চিঠি পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি যেখানে-সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনার কথা জানিয়েছেন জ্বালানি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
বিদুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে এলপিজি গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মানুষ সহজেই এই গ্যাস পেতে চান। তাই নিষেধাজ্ঞার পর যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি। পাশাপাশি বাড়ছে গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা। গত এক বছরে দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস যেখানে সেখানে বিক্রিতে বিধি-নিষেধ আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আর উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের সব জেলা প্রশাসকের চিঠি পাঠানো হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে এবং বিস্ফোরক পরিদফতরের ভিজিল্যান্স বাড়ানো হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, জ্বালানি গ্যাস বিক্রি ও ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় গ্যাস বিক্রি করা যাবে, কোথায় কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে- সেসব নিয়মে রয়েছে। খোলা জায়াগায় যেকোনো দোকানে এই সিলিন্ডার বিক্রি নিষেধ। কারণ এলপিজি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম উপজাত প্রপেন ও বিউটেনের সংমিশ্রন। এটি দশ থেকে পনেরবার চাপ দিয়ে তরল গ্যাসে রূপান্তরিত করা হয়। সাধারণ তাপমাত্রায় এটি গ্যাসীয় পদার্থে পরিণত হয়। সাধারণ তাপমাত্রার তুলনায় বেশি তাপমাত্রায় এলপিজি সিলিন্ডারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণেই খোলা আকাশের নিচে এই গ্যাস রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া ছোট যানবাহনে সিলিন্ডার পরিবহনও ঝুঁকিপূর্ণ। এসব চিন্তা করেই সরকার যত্রতত্র বিক্রি বন্ধ করতে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান বলেন, ‘এখন বোতলজাত গ্যাসের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। তাই ঝুঁকিও বেড়েছে। সম্প্রতি বেশকয়েকটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত হয়েছে। ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকেই আমরা এটি নিয়মের মধ্যে আনতে চাই।’