বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবসায়ীদের পক্ষে সরকার: অর্থমন্ত্রী
১ অক্টোবর ২০২০ ০৯:২৫
ঢাকা: বৃহত্তর স্বার্থে সরকার ব্যবসায়ীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের জন্যই আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও খেলাপি হওয়া থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি শুধু ব্যাংকগুলোর আয় নয় অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে।’ ব্যবসায়ীরা ভালো থাকলে ব্যাংকগুলো ভালো থাকবে বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও খেলাপি হওয়া থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, এর ফলে দেশের ব্যাংকগুলো ক্ষতিতে পড়ছে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা করোনার জন্যই বাড়ানো হয়েছে। আমরা টাকা দিয়েছি টাকাতো মাফ করে দেয়নি। টাকা আমরা পাবো। কিন্তু সময় বাড়িয়ে দিয়েছে। সময় না বাড়িয়ে এ সময় যদি আমরা বাধা সৃষ্টি করি তাহলে এক্সপোর্ট অর্ডারগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে না। আমরা আমদানি করছি এখানো এলসিগুলোর নিষ্পত্তি করতে পারবো না। বিভিন্ন জায়গায় বাধাগ্রস্থা হবে।’
তিনি বলেন, ‘যেই মুহূর্তে লোনটি ক্লাসিফাইড হয়ে যাবে সেই মূহূর্ত থেকে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ হবে। এই মুহূর্তে আমার মনে হয় এটা করা ঠিক হবে না। করোনাকালে তাদেরকে (ব্যবসায়ীদের) সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষই বলছে এ সিদ্ধান্তে ফলে তাদের আয়ের ওপরে প্রভাব ফেলছে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি শুধু আয় নয় অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করে করা হয়েছে। এখন কোনো না কোনোভাবে কিছু হলে কেউ তো ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কিন্তু আমরা এখন বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবসায়ীদের পক্ষে আছি। আমি মনে করি ব্যবসায়ীরা যদি ভালো থাকে ব্যাংকগুলোও ভালো থাকবে। গতবছর প্রত্যেকটি ব্যাংকই ভালো করেছে, তাদেরকে ধন্যবাদ। প্রত্যেকের ব্যালেন্স সিট অনেক ভালো। খেলাপি ঋণের পরিমাণও কমের দিকে।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার এই সুযোগ বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর এ প্রসঙ্গে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও কোনো ব্যবসায়ীকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করা যাবে না। আবার এই সময়ে ঋণের ওপর কোনো ধরনের দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপও করা যাবে না। তবে যদি কেউ ঋণ শোধ করে নিয়মিত গ্রাহক হন, তাকে খেলাপি গ্রাহকের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।