Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণপিটুনিতে রেনু হত্যা: চার্জশিট গ্রহণের শুনানি ২ নভেম্বর


১ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৩৯

ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ বিষয় শুনানি আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) মামলাটির চার্জশিট গ্রহণ বিষয়ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার মূল নথি সিআরমিসে থাকায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক গত বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভূক্ত আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন। এদের মধ্যে দু’জনকে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এছাড়া মামলাতে জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে- রিয়া বেগম, বাচ্চু মিয়া, শাহীন, মুরাদ ও বাপ্পি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করাবেন বলে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। ওই রাতেই রেনুর বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গণপিটুনিতে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

আদালত মামলার প্রধান অভিযুক্ত হৃদয় ওরফে ইব্রাহিমের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে হৃদয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। একইদিন রেনুকে পিটিয়ে হত্যার আগে ‘ছেলেধরা’ গুজব সৃষ্টিকারী রিয়া খাতুনও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। হৃদয় ও রিয়া কারাগারে রয়েছেন। জাফর হোসেন নামের আরেক আসামিও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া মো. শাহীন, মো. বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মো. কামাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদকে চারদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলায় জড়িত থাকা আসামিরা এখন কারাগারে রয়েছে।

আদালত রেনু হত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর